1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৫৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
লামায় কার্প জাতীয় মাছের পোনা পেলেন ১০০ চাষি হাতিয়ায় পিডিবি’র দুই কর্মীকে চোর সন্দেহে মারধর, ১ জনের মৃত্যু চকরিয়া থানা হাজতে অফিস সহকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় এলাকাবাসীর বিক্ষোভ ও মানববন্ধন লামা মুখ ফুটবল টুর্নামেন্ট’র শুভ উদ্বোধন লামায় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে কুইজ প্রতিযোগিতা আলী মিয়ার ১৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী ২২ আগস্ট বান্দরবানের রুমায় পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের প্রতিবাদে মানববন্ধন নাইক্ষ্যংছড়িতে তথ্য অফিসের নারী সমাবেশ ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী লামায়: ‘নতুন কুঁড়ি-২০২৫’ প্রচারণা বিষয়ক অবহিতকরণ লামায় সহকারি শিক্ষক সমিতির আহবায়ক সুলতান, সদস্য সচিব আজগর লামায় বিএডিসি’র অনিয়মিত শ্রমিকদের কর্মবিরতি লামায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ’র উদ্বোধন ঘুমধুম সীমান্তে আরাকান আর্মির সদস্য সন্দেহে দুই উপজাতি নাগরিক আটক! ঘুমধুমে রোহিঙ্গা যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার লোহাগাড়ায় ৭৫ লিটার চোলাই মদসহ আটক ২

লামায় ৮ মন্ডপে পুজার আয়োজন : মন্ডপে মন্ডপে প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৯২ বার পড়া হয়েছে

মো. নুরুল করিম আরমান |
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তর ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা। ৯ অক্টোবর বুধবার মহা ষষ্ঠীর দিন সন্ধ্যায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, দেবীর মুখোন্মোচন, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সারা দেশের মত বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায়ও শুরু হবে এ পুজা। ইতিমধ্যে মন্ডপে মন্ডপে প্রতিমা তৈরি কাজ শেষে এখন চলছে প্যান্ডেল সহ আলোকসজ্জার কাজ। প্রতি বছরের মত এ বছরও উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের ৮টি মন্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এসব পূজা মন্ডপে কারিগরদের নিপূণ হাতের ছোঁয়ায় সজ্জিত হয়েছে দেবীদুর্গা সহ অন্যান্য দেবী-দেবতা। ১৩ অক্টোবর বিকেল ৩টায় দশমী তিথিতে মাতামুহুরী নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এ উৎসব।
এদিকে পূজায় দেবী দুর্গাকে বরণ করতে উদগ্রীব ভক্তরা। তাদের আয়োজনও কম নয়। বড়দের পাশাপাশি ছোটদের আনন্দ আরো বেশি। নতুন জামা-কাপড় কিনতে কাপড়ের দোকানগুলোতে ভীড় জমাচ্ছে হিন্দু ধর্মালম্বী নারী-পুরুষেরা। বৃহত্তর সনাতনী যুব সমাজের আয়োজনে পুজায় সার্বিক সহযোগিতা করছে লামা পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ। এ দুর্গা পূজা নির্বিগ্নে করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্ছ নিরাপত্তা-ব্যবস্থার পাশাপাশি সহযোগিতাও করা হযেছে আর্থিকভাবে।
পূজাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে বান্দরবান জেলা প্রশাসক’কে প্রধান উপদেষ্টা করে কেন্দ্রীয় হরি মন্দির পূজা উদ্যাপন কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে গোপন কান্তি চৌধুরীকে সভাপতি, বিধান দাশকে সাধারণ সম্পাদক ও অনুপ দাশ কে অর্থ সম্পাদক করা হয়। এ কমিটি অনুষ্ঠিতব্য সবকটি পুজা মন্ডপ পরিচালনায়ও দায়িত্ব পালন করছেন। ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন মন্ডপ পরিদর্শন করেন এ কমিটির নেতারা। এছাড়া দুর্গাপুজাকে পরিপূর্ণ রুপ দিতে প্রতিটি মন্ডপে মন্ডপেও গঠন করা হয় উদ্যাপন কমিটি। পূজার আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিতে পুজারি থেকে শুরু করে কর্মব্যস্ত প্রতিমা শিল্পীরাও। পুজার সার্বিক তত্বাবধানে রয়েছে লামা কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেড. কেন্দ্রীয় হরি মন্দির পরিচালনা পরিষদ, সনাতনী যুব সমাজ ও কেন্দ্রীয় গীতা সংঘ।
শনিবার কয়েকটি পূজামন্ডপ ঘুরে দেখা যায়, কাদা-মাটি, বাঁশ, খড়, সুতলি দিয়ে শৈল্পিক ছোঁয়ায় তিলতিল করে গড়ে তোলা হয় দেবীদুর্গা সহ অন্যান্য দেবী-দেবতা। প্রতিটি মন্ডপে প্রতিমা শিল্পীদের নিপুণ আঁচড়ে তৈরি হয়েছে এক একটি প্রতিমা। অতি ভালোবাসায় তৈরি করা হয়েছে দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্তিক, গণেশ, অসুর ও শিবের মূর্তি। এ সময় প্রতিমা তৈরির শিল্পী বাবুল ভট্টাচার্য্য জানায়, প্রতিমা গড়া ও রং তুলির ও প্রতিমাকে সাজ সজ্জার কাজ শেষ করে মন্ডপ কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন চলছে মন্ডপ সাজ সজ্জার কাজ।
এ বিষয়ে লামা কেন্দ্রীয় দুর্গা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি গোপন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক বিধান দাশ এক সূরে বলেন, প্রতি বছর আমরা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে পুজা উদযাপন করে থাকি। আশা করি এবারও সকলে মিলেমিশে এ উৎসব উদ্যাপন করতে পারবো। অর্থ সম্পাদক অনুপ দাশ জানান, প্রতিবছরের ন্যয় এবছরও পুজার জন্য লামা পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, সেনাবাহিনী, বিজিবি সহ ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে আর্থিক সহযোগিতা পেয়েছি। একই কথা জানালেন ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের গুলিস্তান বাজার, ইয়াংছা, পাগলির আগা, কমিউনিটি সেন্টার, আজিজনগর ইউনিয়নের তেলুনিয়া, মেরাখোলা ও পৌরসভার চম্পাতলী মন্ডপ কমিটির সদস্যরা। মেরাখোলা মন্ডপ কমিিিটর সভাপতি সাগর চন্দ্র বলেন, প্রতি বছরের মত এবারও শান্তিপুর্ণভাবে পুজা উদযাপন করতে পারবো বলে আশা করছি। এবারে মেরাখোলা হরি মন্দির মন্ডপে ২-৩ লাখ টাকা খরচ হতে পারে।
এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামীম শেখ জানান, ২০২১ সালে মন্ডপে হামলার ঘটনা মাথায় রেখেই এবারে পূজা উপলক্ষে আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। মন্ডপে পোষাকধারী ও সাদা পোষাকের পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবকরা ২৪ ঘন্টা কাজ করবেন। এছাড়া প্রতিটি মন্দিরে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ গুলোর সাথে নিয়মিত আলোচনা চলছে। আশা রাখছি প্রতি বছরের মত এবারও সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে এই ধর্মীয় উৎসব সম্পন্ন হবে।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরেও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় দুর্গাপুজা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, দুর্গাপুজা উপলক্ষে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় সহ বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক উপজেলার প্রতিটি মন্ডপে বরাদ্দের পাশাপাশি সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট