1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৩২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
কুতুব‌দিয়ায় এন‌সি‌পি নেতার বিরু‌দ্ধে মামলা বাংলাদেশি ১৪ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি রাঙামাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত লামায় রিজিয়ন কাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট’র উপজেলা পর্যায়ের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত আলীকদম বিজিবি’র উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান মিয়ানমারের অভ্যান্তরে মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা যুবক গুরুতর আহত লামায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের মূল্যায়ন, সমাপনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবির  উদ্যোগে মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে সীমান্তে ফেস্টুন স্থাপন লামায় কার্প জাতীয় মাছের পোনা পেলেন ১০০ চাষি হাতিয়ায় পিডিবি’র দুই কর্মীকে চোর সন্দেহে মারধর, ১ জনের মৃত্যু চকরিয়া থানা হাজতে অফিস সহকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় এলাকাবাসীর বিক্ষোভ ও মানববন্ধন লামা মুখ ফুটবল টুর্নামেন্ট’র শুভ উদ্বোধন লামায় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে কুইজ প্রতিযোগিতা আলী মিয়ার ১৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী ২২ আগস্ট বান্দরবানের রুমায় পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

লামার গাড়ি চালক সমবায় সমিতি, মসজিদ পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিককে চকরিয়া থানায় মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ১২৭ বার পড়া হয়েছে

মুহাম্মদ এমরান, ইয়াংছা |
বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার সিএনজি মাহিন্দ্রা ও টমটম চালক সমবায় সমিতি লিমিটেড’র সভাপতি, বাজার ব্যবসায়ী ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারী ১০ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে থানায় মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ভিলেজার পাড়ার বসিন্দা সৈয়দ আলমের ছেলে মো. সোহাগ গং কর্র্তৃক সংঘটিত পূর্বের একটি ছিনতাই ঘটনা ধামাচাপা দিতে চকরিয়া থানায় মামলা দিয়ে এ হয়রানি করছেন। বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগীরা লামা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের এ অভিযোগ করেন। প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের পাশাপাশি মিথ্যা অভিযোগ তুলে দায়ের করা মামলা থেকে রেহাই পেতে চকরিয়া থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগে জানা যায়,গত ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে নেজাম উদ্দিন চকরিয়া থেকে মোটর সাইকেল যোগে ইয়াংছাস্থ নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এরি মধ্যে সড়কের হিমছড়ি নামক স্থানে মোটর সাইকেল থামিয়ে নাজেম উদ্দিনের উপর হামলা করেন পাশের মানিকপুর ইউনিয়নের মো. সোহাগ, মো. তারেক, আবু বক্কর ও রিদোয়ান। শুধু তায় নয়, ওই সময় হামলাকারীরা নাজেম উদ্দিনের মোটর সাইকেলের চাবি ও একটি স্মার্ট ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ সময় নেজাম উদ্দিনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে সংঘবদ্ধ দলের ৩ জন পালিয়ে গেলেও সোহাগকে ধরা পড়েন। পরে স্থানীয়রা আটক সোহাগকে ইয়াংছা আর্মি ক্যাম্পে হস্তান্তর করেন। সেখানে অভিযুক্ত সোহাগ ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও গন্যমান্য ব্যক্তির মধ্যস্থতায় একটি অঙ্গিকার নামা দিয়ে সোহাগ রক্ষা পায়। এর জের ধরে পরদিন সোহাগ সহ তার সাঙ্গ পাঙ্গরা ক্ষিপ্ত হয়ে মোবাইল ফোনে নেজাম উদ্দিনকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তোকে যেখানে পাবো, সেখানে মেরে ফেলবো এবং বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দিবো’। এ ধারাবাহিকতায় গত ৯ ডিসেম্বর সোহাগ তার বাবা ছৈয়দ আলমকে বাদী করে চকরিয়া থানায় ইয়াংছা সিএনজি মাহিন্দ্র ও টমটম চালক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি নেজাম উদ্দিন সহ ইয়াংছা বাজার জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু ইউছুফ, শ্রমিক মো. আরিফ, সাহাব উদ্দিন ও লোকমান হাকিম সহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে চকরিয়া থানায় মামলা (মামলা নং ১১/৫০০, তারিখ- ৯/১২/২৪ইং) করেন। এর আগে হুমকির শিকার হয়ে সোহাগসহ অন্যদের বিরুদ্ধে লামা থানায় লিখিত অভিযোগও করেন নেজাম উদ্দিন। অপর ভুক্তভোগী ইয়াংছা বাজার মসজিদ পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারী আবু ইউছুফ ও ব্যবসায়ী সাহাব উদ্দিন বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না, এমনকি সোহাগকে আমরা চিনিও না। কিন্তু সোহাগ আমাাদেরকে কেন আসামী করেছেন তা বোধ্যগম্য নয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় হিমছড়ি পাড়ার বাসিন্দা সোলতান, আবু জাকের, নুরুল আলম, হাছান আলী ও মো. ফারুক বলেন, ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে মানিকপুরের সোহাগ সহ চার পাঁচ জন মিলে নাজেম উদ্দিনের গতি রোধ করে মোবাইল ও মোটর সাইকেলের চাবি ছিনিয়ে নেন। খবর পেয়ে আমরা এগিয়ে গেলে তিন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও সোহাগ পালাতে পারেনি। তাকে আটক করে ইয়াংছা আর্মি ক্যাম্পে হস্তান্তর করি। সেখানে সোহাগ ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলে অঙ্গিকারনামা দিয়ে ছাড়া পায়। কিন্তু পরবর্তীতে শুনতেছি সোহাগ তার বাবাকে বাদী করে উল্টো নেজাম উদ্দিনসহ অন্যদের বিরুদ্ধে টাকা ছিনতাই ও মারধরের অভিযোগ তুলে চকরিয়া থানায় মামলা করেছেন। একই কথা জানালেন হিমছড়ি পাড়া সর্দার সৈয়দ আলম ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ ইসমাইল। তারা বলেন, যেখানে সোহাগ দোষী সাব্যস্থ হলেও ভূল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ার কারণে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে উভয় পক্ষের সম্মতিতে ঘটনাটি মিমাংসা করা হয়। সেখানে সোহাগের বাবা চকরিয়া থানায় মামলা করাটা মোটেও উচিৎ করেননি। তবে নেজাম উদ্দিন কর্তৃক আনিত সব অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবী করেন সোহাগ গংরা।
এ বিষয়ে চকরিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান জানায়, ছৈয়দ আলম মামলা করার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ঘটনার তদন্ত চলছে। অচিরেই প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট