1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
আলীকদমে অপার নির্জনতার নাম ‘চেয়ারম্যান লেক’ আলীকদমে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা দিলেন চট্টগ্রাম লায়ন্স ক্লাব গোল্ডেন সিটি ইয়াংছা উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা ‘২৫ অনুষ্ঠিত নাইক্ষ্যংছড়িতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি গঠিত রামুর ডাকাত শাহীনের সহযোগী আবছার অস্ত্রসহ নাইক্ষ্যংছড়ির বিজিবির হাতে আটক   লামায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর’র অভিযান লামায় পাহাড় ধস, লামামুখ – রাজবাড়ী সড়ক যোগাযোগ বন্ধ লামার গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবধর্ণা লামায় প্রান্তিক কৃষক ও বেকার নারীদের উন্নয়নে বিনামুল্যে গাছের চারা, গবাদিপশু, সেলাই মেশিন ও আর্থিক অনুদান মিয়ানমারের বিদ্রোহি আরাকান আর্মির গোলাগুলিতে ছোঁড়া গুলি এসে পড়লো এপারে নাইক্ষ্যংছড়িতে জেলা পরিষদের উদ্দ্যোগে গবাদিপশুর, সেলাই মেশিন ও অর্থ বিতরণ করেন এ্যাড. আবুল কালাম  লামায় জীনামেজু টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট’র কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত লামায় পর্যটন কটেজে এক পর্যটকের আত্মহত্যা লামায় পরিবেশ বিধ্বংসী ৬ লাখ ২৭ হাজার গাছের চারা ধ্বংস কার্যক্রম শুরু

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা থেকে নারী জজ সহোদর দুই বোন

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ৯৮ বার পড়া হয়েছে

শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি | 

বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দ্বিতীয় নারী জজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন  দোছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা ফারজানা ইসলাম সুইটি। তাঁর স্বামী রিয়াজও জুডিশিয়ারিতে কর্মরত আছেন। এর আগে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ১২তম বিজেএস পরীক্ষায় সারা দেশে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন জজ হয়েছিলেন ‘ফারজানা ইসলাম সুইটির’ বড় বোন ‘আফসানা ইসলাম রুমি’। তাঁরা দুজনই উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়নের  বাঁকখালী গ্রামের বাসিন্দা। তারা দু,জনেই রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের মাঝিরকাটা গ্রামের জন্মজাত সন্তান এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। ১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) নিয়োগ পরীক্ষায় সহকারী জজ হিসেবে ৮৯তম স্থান অধিকার করেন ফারজানা ইসলাম সুইটি। গত রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শরীফ এ এম রেজা জাকের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

এমন সু-সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ সহ বন্ধুপাড়ার সকলের মন আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠে। সদা শান্ত ও পড়ালেখায় মনযোগী ফারজানা ইসলাম ইসলাম সুইটি প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক জীবনে ছিলো অন্য বন্ধুর ছেয়ে আলাদা। শিক্ষক ও বাবা-মায়ের মন জয়ের পাশাপাশি বেশি সময় কাটাতেন পড়ালেখা নিয়ে। তিনি গর্জনিয়ার মাঝিরকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০০৫ সালে প্রাথমিক বৃত্তি লাভের পর ২০১১ সালে গর্জনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন।  তাদের বাবা নুরুল ইসলাম দোছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের এক নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য এবং মা সাজেদা বেগমও এক, দুই ও তিন নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য।

দুই নারী জজের বাবা নুরুল ইসলাম এই অর্জনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আফসানা এবং ফারজানার এই দু,বোনের সাফল্য শুধু তাদের ব্যক্তিগত অর্জন নয়, এটি বান্দরবান জেলার বিচার বিভাগেও এক নতুন অধ্যায় যোগ করেছে। আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি আমাকে এমন সন্তান দিয়েছেন, যারা ন্যায়ের পথে চলবে এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করবে। আমি চাই তারা সবসময় সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকুক।

মা সাজেদা বেগম জানান, শৈশব থেকেই তিনি সন্তানদের কঠোর শাসনের মধ্যে রেখেছিলেন, তবে তা শুধু পড়াশোনার জন্য নয়, বরং তাদের সততা ও নৈতিকতা বজায় রাখার জন্য। তিনি বলেন, আমি সবসময় চেয়েছি, আমার সন্তানেরা সত্য কথা বলবে, সৎ পথে চলবে এবং কারও ক্ষতি করবে না। আল্লাহ আমার সেই আশা পূরণ করেছেন। তারা যেন সৃষ্টিকর্তার কাছে এর প্রতিদান পায়।

এদিকে জজ হিসাবে চূড়ান্ত সুপারিশ হওয়ার পর তাৎক্ষণিক মন্তব্যে ফারজানা ইসলাম সুইটি বলেন- ‘প্রতিকূলতাকে জয় করার স্পৃহা ছিল। সেই একাগ্রতার জোরেই অবশেষে সফল হলাম। এটা নিঃসন্দেহে আমার জীবনের অন্যতম পাওয়া। আমি চেষ্টা করেছি। আল্লাহ তাআলা তার প্রতিদান দিয়েছেন। এর আগে আমি ১৪, ১৫ এবং ১৬ তম বিজেএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি। ৩টা পরীক্ষায় আমি প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং ভাইভা দিয়েছি। কিন্তু ৩টা পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হইনি। ১৭তম বিসিএস পরীক্ষায় সবশেষ খুশির খবরটা পেলাম।, ফারজানা ইসলাম সুইটি আরও বলেন ‘বিচারকের আসন এমন একটা স্থান, যেখানে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। একই সঙ্গে এটি ইবাদতের একটি মাধ্যম। তাদের বড় ভাই আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম জানান, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধিনে অনুষ্ঠিত ১৭তম জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে সুপারিশ প্রাপ্তদের তালিকায় স্থান পেয়েছে আমার ছোট বোন ফারজানা ইসলাম সুইটি। সে মেধা তালিকায় ৮৯তম স্থান অর্জন করেছে।

এর আগে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ১২তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় বাংলাদেশের ২য় স্থান অর্জন করে সেই আমার আপন ছোট বোন আফসানা ইসলাম রুমি । আমরা তিন জনেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে যথাক্রমে ২০তম,২২তম ও ১৮তম ব্যাচে ছাত্র ছিলাম। ছোট বোন আফসানা ইসলাম রুমি বর্তমান ফেনী জেলায় কর্মরত আছে। ফারজানা ইসলাম সুইটির জজ হিসেবে নিয়োগের কর্মস্থল এখনো জানাযায়নি।

উল্লেখ্য, আফসানা,ফরজানা এবং তাদের বড় ভাই মুজাহিদুল ইসলাম এরা তিন জনই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। বর্তমানে মুজাহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন এবং একই সঙ্গে বান্দরবান জেলা ও দায়রাজজ আদালতে আইন পেশায় যুক্ত আছেন।পরিবারের ছোট সন্তান তাওসিফুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করার পাশাপাশি সাংবাদিকতায় শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট