সংবাদ সম্মেলনে দুর্বার চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভানেত্রী ডনাইপ্রু নেলী বলেন, জাতীয় বা রাষ্ট্রীয় জীবনের সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণের ক্ষেত্রে নারীর নিজের কার্যকর অংশগ্রহণ, মতামত প্রদান বা ভূমিকা রাখার তেমন কোন সুযোগই থাকে না, অর্থাৎ নারীর জীবনের প্রতিটি পর্যায়েই তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে অন্য কেউ। বলা যায়, তার উপরে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হয় এবং ছলে-বলে-কৌশলে তা তাকে মানতে বাধ্য করা হয়। ধরেই নেয়া হয়, সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য যথেষ্ট যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানবুদ্ধি নারীর নেই। নারী সর্বদা, সর্বত্র পুরুষের অধস্তন, অধীনন্ত। এ সময় তিনি আরো বলেন, জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি তার জীবনের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করবে পুরুষ। এই পুরুষতান্ত্রিক চিন্তাধারাও চর্চাপ্রসূত সিদ্ধান্ত, প্রথা, নিয়ম, আইন, বিধি-বিধান নারীর অগ্রগতি, এমনকি তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকেও ব্যাহত করে। তা কেবল নারীর নয়, সমগ্র দেশ ও জাতির অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করে।
এতে নারী নেত্রীরা নারীর উপর যেকোনো ধরনের সংঘবদ্ধ সহিংসতা বন্ধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া, সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দাপ্তরিক বা অধিকার ভিত্তিক কমিটি, রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নারীর সমান উপস্থিতি ও কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, জুলাই অভ্যুত্থানের নারী সহযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া, আদিবাসী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, প্রতিবন্ধী, গৃহকর্মী, গার্মেন্টস কর্মী এবং অন্যান্য অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত নারী ও প্রবাসী নারীদের সর্বোচ্চ স্বার্থ নিশ্চিত করাসহ নারীদের সুরক্ষা ও উন্নত জীবনধারণের জন্য ১১টি দাবি তুলে ধরেন এবং তা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে আহবান জানান।
বান্দরবান উইমেন এক্টিভিস্ট ফোরাম এর সভানেত্রী পাইপ্রাউ, উইমেন এক্টিভিস্ট ফোরাম এর প্রচার সম্পাদক উসাই মা,কর্মসূচী পরিচালক আখ্যইমং, সাধারণ সম্পাপদক সোয়ারু মুরুং, মানবাধিকার কর্মী অং চ মং মারমা, প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চুসহ বিভিন্ন নারী নেতৃবৃন্ধ এবং সাংবাদিকরা এতে উপস্থিত ছিলেন।