মো. নুরুল করিম আরমান |
চলতি অর্থ বছরে বান্দরবান জেলার লামা বন বিভাগের আওতাধীন মাতামুহুরী রেঞ্জের বাঁশ মহাল নিলাম না দেওয়া সরকার কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অর্থ বছরের শেষ প্রান্তে এসেও বাঁশ মহাল নিলাম না দেওয়ায় এ অর্থ বছরে আর নিলামের সম্ভাবনা নেই। বাঁশ মহাল নিলামের জন্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক ওয়াকিং প্লান অনুমোদন না হওয়ায় নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাচ্ছেনা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশের সর্ববৃহৎ সংরক্ষিত বনাঞ্চল বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলাধীন মাতামুহুরী বনাঞ্চল। ১ লক্ষ ২ হাজার একর জায়গা নিয়ে ব্রিটিশ আমল থেকে এই সংরক্ষিত বনাঞ্চলটি সৃষ্টি হয়। গত বছর এই সংরক্ষিত বনে উৎপাদিত বাঁশ নিলাম দিয়ে বন বিভাগ প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় করেছে। এর আগের বছরগুলোতেও এই সংরক্ষিত বনের বাঁশ মহাল নিলাম দিয়ে বন বিভাগ কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে। কিন্তু চলতি অর্থ বছরের এপ্রিল মাস শেষ হলেও লামা বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ এই বাঁশ মহাল নিলাম দেয়নি। গত অর্থ বছরের নিলামের দাখিলা দিয়ে গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত বাঁশের টিপি প্রদান করা হয়েছিল।
বাঁশ মহাল নিলাম না হলেও একটি চক্র মাতামুহুরী রেঞ্জ হইতে অবৈধ ভাবে বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশ আহরণ করে পাচার অব্যাহত রেখেছে বলে জানান, আলীকদম উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম। তিনি বলেন, এখনো সময় আছে। বন বিভাগের উচিৎ দ্রুত বাঁশ মহাল নিলামের ব্যবস্থা করা। না হয় সরকার কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে।
মাতামুহুরী সংরক্ষিত বন এলাকার বাসিন্দা মাংক্রাক মুরুং জানিয়েছেন, জুম চাষের কারণে লক্ষ লক্ষ বাঁশ পুঁড়িয়ে ফেলা হয়েছে। আবার বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা মাতামুহুরী সংরক্ষিত বনাঞ্চল হইতে বাঁশ আহরণ করে অবৈধ ভাবে পাচার করছে।
এ বিষয়ে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রতি ৩ বছর পর পর মাতামুহুরী সংরক্ষিত বনের বাঁশ মহাল নিলামের জন্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক ওয়ার্কিং প্লান অনুমোদন নিতে হয়। ওয়ার্কিং প্লান অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় চলতি অর্থ বছরের বাঁশ মহাল নিলামের জন্য পুনরায় ওয়ার্কিং প্লানের অনুমোদন চেয়ে অধিদপ্তরে চিঠি চালাচালি চলছে। অধিদপ্তরের অনুমোদন পাওয়া গেলে বাঁশ মহাল নিলাম প্রদান করা হবে।