1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০৮:২৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
উখিয়ার ইউএনও, পেশাদারিত্ব ও কর্মগুণে নাগরিক সেবায় আলো ছড়াচ্ছেন লামায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ’র সাফল্য, মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলেন ২৫ শিক্ষার্থী বন্ধ হয়ে গেল লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ির সিনেমা হল : রইল না আর এ তিন উপজেলার চিত্তবিনোদনের কোন ব্যবস্থা দুর্গম আলীকদমে দুঃসাহসিকতার বলি: ট্যুর এক্সপার্ট গ্রুপের অব্যবস্থাপনার চিত্র নিয়ে বিশ্লেষণাত্মক প্রতিবেদন আলীকদমে ইয়াবা সহ ৩ জন আটক কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন, পূর্ণপ্যানেলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হাসিম-আনছার প্যানেল জাতীয় নাগরিক কমিটি’র বান্দরবান জেলা সমন্বয় কমিটি অনুমোদন আলীকদমে নিখোঁজ দুই পর্যটকের মধ্যে এক নারী পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ১ লামায় পর্যটন রিসোর্ট মালিকদের প্রতি সেনাবাহিনী’র নির্দেশনা লামায় বিএনপি’র ঈদ পুর্ণমিলনী লামায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদল’র মাসব্যাপী বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী আলীকদমে মাতামুহুরী নদীতে ভেসে আসা লাশটি নড়াইলের জুবাইরুল ইসলাম লামা ও আলীকদমে পর্যটক সুরক্ষায় ‘টুরিস্ট সাপোর্ট অ্যাপস’ আলীকদমে অপহৃত দুলালকে উদ্ধার করেছে বিজিবি লামায় করোনায় আক্রান্ত এক শিক্ষার্থী

উখিয়ার ইউএনও, পেশাদারিত্ব ও কর্মগুণে নাগরিক সেবায় আলো ছড়াচ্ছেন

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫
  • ১ বার পড়া হয়েছে

উখিয়া প্রতিনিধি | 

“প্রতিভা কোনো সীমাবদ্ধ সিদ্ধিতে সন্তুষ্ট থাকে না, অসন্তোষই তার জয়যাত্রা পথের সারথি” বলেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সরকারি অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে জনগণের থাকে অনেক অভিযোগ ও অভিমান, এর মধ্যেই ব্যতিক্রম জনবান্ধব, পরিশ্রমী উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হোসেন চৌধুরী।

দেশের সাধারণ জনগণের কাছাকাছি সরকারি সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা। সরকারি সকল সিদ্ধান্তের সঠিক বাস্তবায়নসহ জনগণের প্রকৃত সেবায় ইউএনও’রা নিয়োজিত হবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দায়িত্বের বাইরে গিয়েও অনেক সময় যখন কোনো কোনো সরকারি কর্মকর্তা সাধারণ জনগণকে ভালো রাখার জন্য দিন-রাত কাজ করেন আর তাঁদের কাজের ধারাবাহিক গতি যখন অস্বাভাবিক ভাবে ভালো হয় তখন তাঁরা সাধারণ জনগণসহ আপামর জনতার শ্রদ্ধার পাত্রে পরিণত হন। এমনই একজন সরকারি কর্মকর্তা কক্সবাজার জেলার উখিয়ার ইউএনও কামরুল হোসেন চৌধুরী। উখিয়াতে যোগদানের পর থেকেই পেশাদারিত্ব ও মানবিকতা এবং নিজ কর্মগুণে তিনি জয় করেছেন উখিয়ার সর্বস্তরের মানুষের মন।

৩৫ তম বিসিএসের এই কর্মকর্তা ২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বরে উখিয়া উপজেলায় যোগদান করেন। এর পূর্বে তিনি লামা উপজেলার ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। উখিয়ায় ইউএনও হিসেবে যোগদানের পর থেকে উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সরকারি খাস জমি উদ্ধার, শিক্ষার মান বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা পালন, অসহায় মানুষকে সব ধরনের সহযোগিতা, অবৈধ ফুটপাত দখলমুক্তকরণ, সাধারণ মানুষের সরকারি সেবা নিশ্চিত করাসহ সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত মাঠ পর্যায়ে সফলভাবে বাস্তবায়ন করে ইতিমধ্যে তিনি একজন মানবিক ও পরিশ্রমী কর্মকর্তা হিসেবে সাধারণ নাগরিকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।

যোগদানের মাত্র ৬ মাস ১৫ দিন পূর্ণ হয়েছে আজ। এর মধ্যে তিনি উপজেলার পরিকল্পিত পরিকল্পনায় টেকসই উন্নয়নে অসংখ্য প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তার কাছে আসা সব সেবা প্রার্থীকে তিনি হাসিমুখে কাঙ্ক্ষিত নাগরিক সেবা দেওয়ার চেষ্টা করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যাতে সম্পূর্ণরূপে দালালমুক্ত হয়ে সরকারি সেবা পেতে পারে সেই উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি যোগদানের প্রথমদিন থেকেই। তার সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ সার্বিক চিত্র।

সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। উখিয়া উপজেলাকে একটি উন্নত আধুনিক জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করছেন তিনি। জনবান্ধব এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

এই প্রতিবেদক সকাল ৯ টার সময় সরেজমিনে ইউএনও কার্যালয়ে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে উৎসুক জনতার ভিড়। ইউএনও কামরুল হোসেন চৌধুরী ধৈর্য ধরে সবার কথা শোনেন এবং দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করেন। এই চিত্র প্রতিদিনের, যেখানে তিনি একজন সেবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। মাদক নিয়ন্ত্রণে তার সাহসী পদক্ষেপের জন্য তিনি মাদকসেবীদের কাছে আতঙ্কের নাম। বিভিন্ন সভা-সেমিনার, তারুণ্য উৎসবে এবং বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশে তিনি মাদক ও বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করে চলেছেন। তার কঠোর পদক্ষেপের ফলে উখিয়া উপজেলায় বাল্যবিবাহের প্রবণতা অনেক কমে গেছে। দুর্নীতিকে “না” জানিয়ে তিনি তার অফিসসহ উপজেলার প্রতিটি দপ্তরে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। বিভিন্ন দপ্তর ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে সুষ্ঠুভাবে সেবা কার্যক্রম চলছে কিনা, তা তিনি নিজেই সরাসরি তদারকি করেন। তার এই পদক্ষেপে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরগুলোর চিত্র বদলে গেছে এবং অসহায় মানুষ এখন সহজেই কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে।

উপজেলা প্রশাসনের একাধিক সূত্রে জানা যায়, যোগদানের পর তিনি উপজেলায় সরকারি সম্পদ উদ্ধার ও রাজস্ব বৃদ্ধির কার্যকরী পদক্ষেপ নেন। বিগত ৬ মাসে তিনি একাধিক অভিযান পরিচালনা করেন। কামরুল হোসেন চৌধুরী উখিয়ায় যোগদানের পর উপজেলার শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারি কাজে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে উপস্থিতির পাশাপাশি তিনি প্রায়ই বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কলেজ সহ সকল চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়মিত পরিদর্শন করে যাচ্ছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে শিক্ষকদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে করণীয় নির্ধারণে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। এছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া ও বাল্যবিবাহ রোধে তিনি বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। বিশেষ করে বন্যা ও দূর্যোগের সময় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নিজে উপস্থিত হয়ে তাদের খাদ্য সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় ত্রাণ বিতরণ এবং উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।

অবৈধ ইটভাটার কারণে প্রভাব পড়ছে পরিবেশে, লোকচক্ষুর সামনে যখন ক্ষতিকর কর্মযজ্ঞ চলছে তখন বাধা হয়ে দাঁড়ালেন উপজেলা প্রশাসনের এই কর্মকর্তা। অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করতে না পারে এজন্য তিনি নিয়মিত জনস্বার্থে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করে গেছেন। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার রাখতে সক্ষম হয়েছে বিগত রমজান মাসে।

উখিয়া উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সরওয়ার জাহান চৌধুরী জানান, ইউএনও কামরুল হোসেন চৌধুরী একজন নীতি ও আদর্শবান এবং সৎ চরিত্রের কর্মকর্তা। সাদামাটা, সহজ-সরল স্বভাবের এই মানুষটি মাত্র ৬ মাসে তাঁর কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উপজেলাবাসীর মন জয় করে নিয়েছেন। বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ প্রতিকারে আশ্রয়স্থলের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন তিনি।

উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ চৌধুরী জানান, বর্তমান ইউএনও বিভিন্ন সময় হতদরিদ্র-অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন ইতিমধ্যে বহুবার। সৎ সাহস ও সদিচ্ছা থাকলে একজন সরকারি কর্মকর্তা অনেক কিছু বদলে দিতে পারেন তা প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি।

উখিয়া উপজেলা জামায়াতে আমির মাওলানা আবুল ফজল জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদানের পর তার কর্মদক্ষতা দিয়ে আলোচিত কিছু উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড গ্রহণ ও আর্তমানবতার সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ইতোমধ্যে তিনি ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছেন।

কোটবাজার বহুমুখী বণিক কল্যাণ সমবায় সমিতি লি: এর পরিচালক মো: ইউনুস চৌধুরী জানান, তিনি অল্প কয়েকদিনে যেভাবে সকলের ভালোবাসা পেয়েছেন তা উখিয়ার ইতিহাসে বিরল।

উপজেলা বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান তারেক মাহমুদ চৌধুরী রাজিব জানান, নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে প্রবেশ করতে সাধারণ মানুষ লাগে না কোন অনুমতি। যে কেউ তার অফিসে কারো সুপারিশ ছাড়াই বিনা-অনুমতিতে প্রবেশ করতে পারেন। সরাসরি তাদের সমস্যার কথা তাকে তুলে ধরতে পারেন। তিনি উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।

সময়ের আলোচিত তরুণ রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার সাফ্ফাত ফারদীন চৌধুরী রামিম জানান, ইউএনও’র ওপর অর্পিত সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি সব সময় চেষ্টা করেন সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবের।যেকোনো অবৈধ ও অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় সোচ্চার। তিনি কোনো অভিযোগ পেলে তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেন।

উখিয়া উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব তরুণ সমাজ সেবক সাদমান জামী চৌধুরী বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হোসেন কথাবার্তায় মার্জিত ও আচরণে অত্যন্ত ভদ্র এবং কাজ পাগল একজন মানুষ। প্রত্যেকটি বিষয় তিনি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকেন।

রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মীর সাহেদুল ইসলাম চৌধুরী রোমান জানান, তিনি উখিয়া উপজেলায় যোগদানের পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদ গুলোর সার্বিক নাগরিক সেবার মান উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। নির্ভীকভাবে ছুটে চলেছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। ‌

রত্না পালং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সেলিম কায়ছার জানান, উখিয়া উপজেলার ইতিহাসে এমন জনবান্ধব ইউএনও আমরা আগে দেখিনি। বিভিন্ন দূর্যোগের সময় জনগণের জানমান রক্ষা, ক্ষতিগ্রস্তদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আনার জন্য তার ভূমিকা থাকে অসাধারণ।

রাজাপালং ইউনিয়নের ডেইলপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শফিক আজাদ জানান, বর্তমান ইউএনও উখিয়ায় যোগদানের পর থেকে নিয়মিত বিভিন্ন প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করে শিক্ষার মান উন্নয়নে জরুরি পরামর্শ দিয়ে‌ থাকেন।‌ এমন শিক্ষাবান্ধব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পেয়ে সত্যিই আমরা গর্বিত।

উখিয়া উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেড়ারেশনের সভাপতি মোঃ রিদুয়ানুর হক জিসান বলেন, আমাদের বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক জন ব্যতিক্রমী কর্মকর্তা। তাঁর মতো এমন ভালো লোকের কারণেই দ্রুত এই উপজেলা উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাবে।

রুমখাঁ বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সভাপতি ছাবের আহমেদ জানান, উপজেলা পরিষদ থেকে প্রতিদিন হাসিমুখে সেবা নিয়ে যাচ্ছেন সকল স্তরের দর্শনার্থীরা। এমন কর্মঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত।

উখিয়া ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আরফাত চৌধুরী বলেন, বর্তমান ইউএনও প্রচণ্ড কর্মস্পৃহা সম্পন্ন একজন চমৎকার মানুষ।‌ তাঁর নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় উপজেলার প্রতিটি দপ্তর সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

ইউএনও’র এসব সাফল্যের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে উখিয়া পেশাদার সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো : ইমরান খান বলেন, বর্তমান ইউএনও কামরুল হোসেন চৌধুরী সরকারের অর্পিত প্রতিটি দায়িত্ব পেশাদারিত্বের সাথে যথাসময়ে তিনি সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সদস্য হাসেম সিকদার জিসান জানান, কামরুল হোসেন চৌধুরী এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে পাল্টে যাচ্ছে অনেক দৃশ্যপট। বিশেষ করে সকল স্তরের মানুষকে বৈষম্যহীন নাগরিক সেবা প্রদান,তার মধ্যে অন্যতম। ছাত্র-জনতার বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক নিরলসভাবে নিয়োজিত আছেন তিনি।

হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও মরিচ্যা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মনজুর আলম জানান, সরকারের মাঠ প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা এবং তাৎক্ষণিক জনসেবা দানকারী হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসাধারণ একজন মানুষ।

দ্য রেড জুলাই এর উখিয়া শাখার আহ্বায়ক এম এইচ সোহেল ইসলাম বলেন, জুলাই – আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী একটি কঠিন সময়ে উখিয়ায় যোগদান করে তিনি অত্যন্ত সুন্দর ভাবে দূরদর্শিতার সাথে সবকিছু ম্যানেজ করে যাচ্ছেন।

কোটবাজার ফাতেমাতুজ জাহরা (র:) বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা মোঃ বেলাল উদ্দিন জানান, নিজ কর্মগুণে তিনি মানুষের মনের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। তার আন্তরিকতা ও সুন্দর ব্যবহারে উপজেলার আপামর জনসাধারণ মুগ্ধ।

খোন্দকার পাড়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ” প্রতিষ্ঠানের একটি সমস্যার বিষয় নিয়ে গিয়েছিলাম ইউএনও মহোদয়ের কাছে। তিনি খুব আন্তরিক, বিনা স্বার্থে সেবা দিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে এক মিনিটের মধ্যে বিষয়টি অবসান ঘটিয়েছেন।”

উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে সেবা নিতে এসে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন বেশিরভাগ নাগরিক, যাদের একজন রুমখাঁ পালং সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লি. এর সম্পাদক পলাশ বড়ুয়া।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, আমি জনগণের বেতনভুক্ত সরকারি একজন কর্মচারী, আমার কাজই হলো সরকারি সেবা নিশ্চিত করা, এটি আমার দায়িত্ব।
যে কোন সমস্যায় এ উপজেলার সকল পেশার এবং শ্রেণীর লোকজনে সহযোগিতা পাওয়া যায়। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন স্যারের সঠিক দিকনির্দেশনা ও পরামর্শক্রমে জনসাধারণের জীবনযাত্রাসহ উখিয়া উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে সরকার কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে যথাযথ পালনে জাস্ট আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট