1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ০৭:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
লামায় শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের পুষ্টিকর খাদ্য ও শিক্ষা সরঞ্জাম পেলেন ৩২৩ শিশু শিক্ষার্থী উখিয়ার ইউএনও, পেশাদারিত্ব ও কর্মগুণে নাগরিক সেবায় আলো ছড়াচ্ছেন লামায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ’র সাফল্য, মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলেন ২৫ শিক্ষার্থী বন্ধ হয়ে গেল লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ির সিনেমা হল : রইল না আর এ তিন উপজেলার চিত্তবিনোদনের কোন ব্যবস্থা দুর্গম আলীকদমে দুঃসাহসিকতার বলি: ট্যুর এক্সপার্ট গ্রুপের অব্যবস্থাপনার চিত্র নিয়ে বিশ্লেষণাত্মক প্রতিবেদন আলীকদমে ইয়াবা সহ ৩ জন আটক কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন, পূর্ণপ্যানেলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হাসিম-আনছার প্যানেল জাতীয় নাগরিক কমিটি’র বান্দরবান জেলা সমন্বয় কমিটি অনুমোদন আলীকদমে নিখোঁজ দুই পর্যটকের মধ্যে এক নারী পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ১ লামায় পর্যটন রিসোর্ট মালিকদের প্রতি সেনাবাহিনী’র নির্দেশনা লামায় বিএনপি’র ঈদ পুর্ণমিলনী লামায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদল’র মাসব্যাপী বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী আলীকদমে মাতামুহুরী নদীতে ভেসে আসা লাশটি নড়াইলের জুবাইরুল ইসলাম লামা ও আলীকদমে পর্যটক সুরক্ষায় ‘টুরিস্ট সাপোর্ট অ্যাপস’ আলীকদমে অপহৃত দুলালকে উদ্ধার করেছে বিজিবি

লোহাগাড়ায় সরকারী জায়গা থেকে গাছ কেটে সাবাড় করল ইউপি সদস্য

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০২৩
  • ৩৯২ বার পড়া হয়েছে

মোঃ সেলিম উদ্দীন, বিশেষ প্রতিনিধি |
দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় প্রায় দুই একর সরকারি খাস জায়গার গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম আবুল কালাম আবুলু। সে উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য।

স্থানীয় একটি সূত্রমতে, ওই ইউপি সদস্য একমাস আগে এসব গাছ কেটে উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করে দিয়েছেন। এছাড়াও, তার বিরুদ্ধে আজিজ নগর ও চুনতি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের অধীনে বেশ ক’টি বনজ গাছ বাগান কাটারও অভিযোগ রয়েছে। চুনতি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের অধীনে সাতগড় মসকানিয়া এলাকার মৃত নূরুল আলাম মেম্বারের পাহাড়ের গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে। ফারাঙ্গা, নোয়ারবিল এলাকায়ও দুটি বনাঞ্চলের গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সে চুনতি রক্ষিত বন দখল করে বাড়ি নির্মান করে বর্তমানে বসবাস করছেন। এ প্রসঙ্গে চুনতি রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি নতুন এসেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড মসকানিয়া রবি টাওয়ার এলাকার একটি দুই একর সরকারি টিলার অধিকাংশ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ওই টিলায় ১৫০০ টি আকাশমনি গাছ ছিল। এরমধ্যে প্রায় ১২০০ টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। কেটে ফেলা গাছের মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

যে টিলাটির গাছ কাটা হয়েছে, সেটি চুনতি সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকায়। তবে বনবিভাগের দাবি, জায়গাটি তাদের নয়, এটি সরকারি খাস জায়গা। এলাকাটি বন্যহাতি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর বিচরণক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত। গাছ কাটার পরে টিলাটিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এতে টিলাটির অন্যান্য ছোট উদ্ভিদ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন বলেন, বনাঞ্চলে কোনভাবেই আগুন দেওয়া যাবে না। কারণ, আগুনে চারাগাছ ও গাছের বীজ পুড়ে যায় এবং মাটির শক্তি কমে যায়। এতে উদ্ভিদের বংশবিস্তার করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাছাড়া বনাঞ্চল আগুনে পুড়ে গেলে প্রাণীদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে। অনেক কীটপতঙ্গ ও পাখির আবাস্থল ধ্বংস হয়। অন্যান্য বন্যপ্রাণীদের খাবার ধ্বংস হয়। ফলে তারা অস্তিত্ব সংকটে পড়ে।

চুনতি রেঞ্জের সাতগড় বনবিট কর্মকর্তা শাহ আলম হাওলাদার বলেন, সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কাটা হচ্ছে, এমন খবর পেয়ে একমাস আগে আমরা ওই এলাকায় যাই। ইউপি সদস্য আবুল কালামের নেতৃত্বে গাছগুলো কাটা হচ্ছিল। তিনি আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন এবং মৌখিকভাবে আর গাছ না কাটার অঙ্গীকার করেছেন। পরে আমরা কাগজপত্র দেখে নিশ্চিত হই, জায়গাটি বনবিভাগের নয়। এটি সরকারি খাস জায়গা। তাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমরা উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি।

গাছ কাটার অভিযোগ স্বীকার করলেও ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। কেটে ফেলা গাছও জব্দ হয়নি। বনবিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, ইউপি সদস্য আবুল কালামের বিরুদ্ধে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কাটার অপরাধে একটি মামলা হয়েছিল। বন আইনে ওই মামলাটি হয়েছিল ২০১৬ সালে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, যখন আমরা খবর পাই, তখন কয়েকটি গাছ কাটা হয়েছিল। ওই ইউপি সদস্যকে গাছ কাটতে নিষেধ করা হয়েছিল। এরপরে আর গাছ কাটা হয়েছে কিনা জানি না। জায়গাটির ব্যাপারে কাগজপত্র যাচাই করে দেখতে হবে।তারপর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আবুল কালাম প্রথমদিকে গাছ কাটার অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, গাছ কাটার সময় এসিল্যান্ড ও বনবিভাগের কর্মকর্তারা বাধা দেওয়ার পর গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়েছি।

বন আইনে ২০১৬ সালের মামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মামলাটি দেওয়া হয়েছিল।

জানতে চাইলে চুনতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জনু বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। ওই ইউপি সদস্য যদি সরকারি খাস জায়গার গাছ কেটে থাকেন, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

এ ব্যাপারে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ উল্যাহ বলেন, খাস জায়গা থেকে গাছ কাটার বিষয়টি জানতাম না। এখন জানলাম। বিষয়টি আমি দেখছি। তারপর ব্যবস্থা নেব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট