খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো.নাইমুল হক বলেছেন, শনিবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৮টার পর মাঠ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। জেলা প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারির পর খাগড়াছড়িতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ইফতার মাহফিলের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। চলছে মঞ্চ তৈরির পাশাপাশি রান্না-বান্নার কাজ। সে সাথে জড়ো হচ্ছে নেতাকর্মীরা। এমন প্রশ্ন জবাবে পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক এসব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক বলেন, ১৪৪ ধারা শনিবার সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। পুলিশের কাজ সকাল ৮টার পর। এখন বিএনপির নেতাকর্মীরা কি করছে আমি জানি না। এদিকে বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেছেন সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে স্বেচ্ছাসেবক দলের ইফতারের মঞ্চ তৈরিসহ যাবতীয় কাজে বিঘ্ন হচ্ছে। তবে এটা দৃশ্যমান যাদের অজুহাতে খাগড়াছড়ি শহরে ১৪৪ ধারা জারি ও প্রশাসন তৎপর, বাস্তবে তাদের কোন তৎপরতা কারো চোখে পড়েনি। বরং সকল ধরনের ভয়তীতি ও হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে রাত যতই বাড়ছে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ততই বাড়ছে। ফলে নানা শঙ্কা বাড়ছে সাধারণ মানুয়ের মাঝে।
প্রসঙ্গত, আগামীকাল শনিবার খাগড়াছড়িতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেক দলের ইফতার মাহফিলে পূর্ব নির্ধারিত তারিখ ছিল। খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএন আবছার জানান, পূর্ব নির্ধারিত চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ইফতার কর্মসূচির জন্য স্থান বরাদ্দ পেতে জেলা প্রশাসকের কাছে জেলা বিএনপি শহরের চারটি স্থানে অনুমতি চাইলেও প্রশাসনের অনুমতি মিলেনি। বরং জেলা বিএনপির আবেদনের ৬ দিন পর বিএনপির আবেদিত খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পৌর আওয়ামী লীগ পাল্টা শান্তি সমাবেশের কথা বলে আবেদন করার পরও তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে বাস টার্মিনাল এলাকায় ব্যক্তি মালিকাধীন জমি বেছে নিয়ে সেখানে ইফতারের প্রস্তুতি নেয়া হলেও এখন তা পন্ড করতে ক্ষমতাসীন দলের ইশারায় প্রশাসন পায়তারা করে। যার ফলশ্রুতিতে শুক্রবার বিকালে ঐ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। সুত্র-পার্বত্য নিউজ