1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
লামায় কবরস্থানসহ ২০ জনেরও অধিক মানুষের জায়গা জবর দখল চেষ্টা, প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন বান্দরবান পৌরসভা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা সহায়তা আলীকদমে ছাগলে ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে এক নারীকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ আলীকদম সেনাবাহিনীর উদ্যোগে অসহায় দুস্থ পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষুধ বিতরণ লামায় সালিশী বৈঠকের আগে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন : ঘাতক সহ আটক ৫ নাইক্ষ্যংছড়িতে আসছেন চরমোনাই পীর বান্দরবানে আত্নকর্মসংস্থামূলক প্রশিক্ষণের উদ্ভোধন করলেন জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বান্দরবানে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল ৩ ম্রো নারীর লামায় ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস, জুলাই গণঅদ্বুত্থান দিবস ও নতুন বাংলাদেশ দিবস’র প্রস্তুতি সভা লামায় ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’ উদযাপিত বান্দরবান জেলায় এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে শীর্ষে দুর্গম পাহাড়ের কোয়ান্টাম কসমো স্কুল লামায় গভীর রাতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, হাতেনাতে আটক ২ জনকে কারাদন্ড লামায় কৃষি অধিদপ্তরের প্রণোদনা বিতরণ লামায় সব রিসোর্ট বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রশাসনের বান্দরবানে স্ত্রী হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড

পেকুয়ায় ফসলি জমি ও লবণ মাঠের সাথে একাকার সড়কটির সংস্কার চলছে

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১৭১ বার পড়া হয়েছে

পেকুয়া প্রতিনিধি |

 

দীর্ঘ ৩২ বছর পর উন্নয়ন ছোঁয়া লাগলো কক্সবাজারের পেকুয়ার মগনামা সাতঘরপাড়া-চেপ্টাখালী সড়কে। আড়াই যুগেরও বেশি সময় পর এ সড়কের সংস্কারকাজ চলছে। বর্তমানে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় চলমান কাজের অংশ হিসেবে মগনামা ইউপির জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংষ্কারের উদ্যোগ নেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস চৌধুরী। চেপ্টাখালী নাশি থেকে সাতঘরপাড়া পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের মাটি ভরাট কাজ চলমান রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গত এক সপ্তাহ আগে চেপ্টাখালী সাতঘরপাড়া সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করে ইউপি চেয়ারম্যান। ১২ ফুট প্রস্থ, ৫ ফুট উচ্চতা এবং ১৮ ফুট তলা বিশিষ্ট ওই সড়কটিতে সংস্কারকাজ বাস্তবায়ন হওয়ার পথে।

স্থানীয় আলী মুহাম্মদ মনু, জিয়াবুল করিম, নুরুল ইসলাম বলেন, সাতঘরপাড়া থেকে চেপ্টাখালী নাশি পর্যন্ত এ সড়কটি মগনামা ইউনিয়নের যাতায়াতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলের তীরবর্তী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন থেকে পূর্বদিকে এ সড়কটি বহমান। চেপ্টাখালী নাশি থেকে সড়কটি মধ্যম মগনামা সাতঘরপাড়া স্টেশনে গিয়ে পৌঁছে। এ সড়কটি মগনামার খুবই প্রাচীন সড়ক।

তারা জানান, ১৯৮৯ সালে সড়কটি নির্মিত হয়। অবিভক্ত মগনামার সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম সড়কটি নির্মাণ করেন। দ্বিতীয় দফায় ১৯৯১ সালের শেষের দিকে সড়কটি পাকাকরণ কাজ শুরু করা হয়। ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও সামুদ্রিক জ্বলোচ্ছাসে মগনামাসহ উপকুল লন্ডভন্ড হয়। সেই সময় সমুদ্র পথে ত্রাণকার্যক্রম চালানো হয়। চেপ্টাখালী নাশি থেকে নৌপথের ত্রাণ গাড়িতে পরিবহনের জন্য এ সড়কটি ব্রিক সলিন দ্বারা উন্নয়ন করা হয়।

ওই সময় সড়কটির নামকরণ করা হয় মগনামা হাই স্কুল সড়ক। চেপ্টাখালী থেকে সাতঘরপাড়া হয়ে মগনামা হাইস্কুল পর্যন্ত এমনকি মগনামা হাইস্কুল থেকে মুহুরীপাড়া হয়ে বাইন্যাঘোনা পর্যন্ত এ সড়কটির নাম ছিল হাইস্কুল সড়ক। এরপর থেকে হাই স্কুল সড়কের আর উন্নয়ন হয়নি। এরই মধ্যে বাইন্যাঘোনা থেকে মুহুরীপাড়া পূর্ব অংশ পর্যন্ত সড়কটি বিলীন হয়ে যায়।

অপরদিকে মধ্যম মগনামা সাতঘরপাড়া থেকে পশ্চিমের বেড়িবাঁধ পর্যন্ত হাই স্কুল সড়কের দ্বিতীয় অংশেও প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায়। চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরী ওই সড়কের সাতঘরপাড়া থেকে চেপ্টাখালী পর্যন্ত বিলীন অংশে মাটি ভরাট কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৪ ও ৮ নং ওয়ার্ডের কর্মসৃজনে শ্রমিকরাই সেখানে কাজ করছেন। ৪নং ওয়ার্ডের ৫২ জন এবং ৮নং ওয়ার্ডের ৭৫ জনসহ ১২৭ জন শ্রমিক সেখানে মাটি ভরাট কাজে নিয়োজিত আছেন। শ্রমিকরা গত এক সপ্তাহ ধরে এ রাস্তার কাজ করছেন বলে জানান।

মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান ইউনুস চৌধুরী বলেন, সড়কটি অতি জনগুরুত্বপূর্ণ। সংস্কারকাজ বাস্তবায়ন না হওয়ায় সড়কটি বিলীন হয়ে যায়। ইট তো নেই, মাটিও নেই। ফসলি জমি ও লবণ মাঠের সাথে একাকার হয়ে গেছে। এ সড়কটি কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে মাটি ভরাট কাজ শুরু করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট