1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ০৮:৫১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
রাঙামাটি পুলিশ উদ্ধার করলেন হারানো ৩০টি মোবাইল চকরিয়ার সাবেক এমপি জাফর আলম ১৮ দিনের রিমান্ডে রামুতে বন্যহাতির হামলায় প্রাণ গেল শিশুর রামুতে পাহাড় ধসে শ্রমিকের মৃত্যু লামায় শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের পুষ্টিকর খাদ্য ও শিক্ষা সরঞ্জাম পেলেন ৩২৩ শিশু শিক্ষার্থী উখিয়ার ইউএনও, পেশাদারিত্ব ও কর্মগুণে নাগরিক সেবায় আলো ছড়াচ্ছেন লামায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ’র সাফল্য, মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলেন ২৫ শিক্ষার্থী বন্ধ হয়ে গেল লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ির সিনেমা হল : রইল না আর এ তিন উপজেলার চিত্তবিনোদনের কোন ব্যবস্থা দুর্গম আলীকদমে দুঃসাহসিকতার বলি: ট্যুর এক্সপার্ট গ্রুপের অব্যবস্থাপনার চিত্র নিয়ে বিশ্লেষণাত্মক প্রতিবেদন আলীকদমে ইয়াবা সহ ৩ জন আটক কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন, পূর্ণপ্যানেলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হাসিম-আনছার প্যানেল জাতীয় নাগরিক কমিটি’র বান্দরবান জেলা সমন্বয় কমিটি অনুমোদন আলীকদমে নিখোঁজ দুই পর্যটকের মধ্যে এক নারী পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ১ লামায় পর্যটন রিসোর্ট মালিকদের প্রতি সেনাবাহিনী’র নির্দেশনা লামায় বিএনপি’র ঈদ পুর্ণমিলনী

মণিপুরের হিংসার রেশ এ বার পড়শি মেঘালয়েও, দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ শিলংয়ে, আটক ১৬

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ৬ মে, ২০২৩
  • ৩৩৪ বার পড়া হয়েছে

পাহাড়ের কথা ডেস্ক |

মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের কাছে নোংরাম হিল অঞ্চলে কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় মোট ১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এখনও শান্ত হয়নি মণিপুর। কিন্তু সে রাজ্যের হিংসার রেশ এ বার এসে পৌঁছল পড়শি রাজ্য মেঘালয়েও। মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের কাছে নোংরাম হিল অঞ্চলে কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় মোট ১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। নতুন করে অশান্তির ঘটনা এড়াতে মেঘালয় পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কেউ আইন হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে চরম পদক্ষেপ করতে বাধ্য হবে তারা।

মণিপুরি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর তরফে বুধবার আন্দোলনকারী মেইতেই জনগোষ্ঠীর দাবির বিরোধিতা করে একটি মিছিল বার করা হয়েছিল। সেখান থেকেই মণিপুরের ৮টি জেলায় হিংসা ছড়ায় বলে অভিযোগ। সম্প্রতি মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছে। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেখান থেকেই সংঘাতের সূচনা।

মূলত সমতল এলাকার বাসিন্দা মেইতেইরা মণিপুরের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী। অন্য দিকে, কুকি, অঙ্গামি, লুসাই, নাগা, থাড়োয়াসের মতো প্রায় ৩০টি জনজাতি গোষ্ঠীর বাস পাহাড়ি এলাকায়। তাদের আশঙ্কা, জনজাতির মর্যাদা পেলেই পাহাড়ি এলাকার জমিতে হাত বাড়াবে মেইতেইরা। এখন জনজাতির মর্যাদা না পাওয়ায় তারা ওই জমি কিনতে পারে না।

অন্য দিকে, মেইতেইদের দাবি, ১৯৪৯ সালে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মণিপুর সংযুক্ত হওয়ার আগে তাঁরা জনজাতি হিসাবে গণ্য হতেন। কিন্তু সংযুক্তিকরণের পর সেই পরিচয় হারান তাঁরা। ফলে জনজাতি জমির অধিকার, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাংবিধানিক রক্ষাকবচও হারিয়েছেন। যে কারণে আজ নিজভূমেই কোণঠাসা তাঁরা।

১৯৫২ সালে মণিপুরের মোট জনসংখ্যার ৫১ শতাংশ যেখানে মেইতেই ছিল, ২০১১ সালের জনশুমারিতে তা ৪৪ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে। মণিপুরের হিংসা প্রশমনে আধা সেনা এবং অসম রাইফেলসের আধিকারিকদের মোতায়েন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের সঙ্গে দফায় দফায় পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

সরকারি তরফে হতাহতের খবর জানানো না হলেও বেসরকারি একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নতুন করে ছড়ানো হিংসায় ১৬ জন মারা গিয়েছেন।

সূত্র: আনন্দ বাজার পত্রিকা

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট