সানজিদা আক্তার রুনা, নাইক্ষ্যংছড়ি:
বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে তেমন বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয় নি বলে জানিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঘূর্ণিঝড় মোখার উপজেলা কন্ট্রোল রুমের প্রধান রোমেন শর্মা। এছাড়াও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক মো: শফিউল্লাহও একই কথা বলেন।
রবিবার (১৪মে) সমগ্র বাংলাদেশের ন্যায় বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মানুষও ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র আতঙ্কে ছিল। কারণ হচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে এবং পরে জানা যায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়ে ছিল। তবে মোখা কিছুটা দিক পরিবর্তন করে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলা এবং দ্বীপ ইউনিয়ন ও পর্যটন স্পট সেন্টমার্টিনকে লণ্ডভণ্ড করে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আঘাত হানে।
এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় দুপুর ২টা থেকে হালকা দমকা বাতাস বহা শুরু হয়,চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এতে সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কেজি স্কুলের সামনে বড় গাছ ভেঙে পড়ে,এতে সদরের সাথে চাকঢালার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো: শফিউল্লাহর নির্দেশনায় এই গাছ রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলে। এছাড়াও সোনাইছড়ির ৮নং ওয়ার্ডে একটি বেসরকারি মাদ্রাসায় বাতাসে টিন উড়ে যায়। এগুলো ছাড়া এই উপজেলায় তেমন আর কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায় নি। তবে, উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের ৪৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছিল,প্রতিটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যানকে প্রধান করে ও প্রতিটি ওয়ার্ডে মেম্বারকে প্রধান করে কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছিল,যাঁরা উপজেলা কন্ট্রোল রুমের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রাখতে পারে। আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচিত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কিছু করনীয় বিষয়ও নির্ধারণ করা হয়েছিল।