লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি |
শারিরীক সুস্থতা ও মানসিক প্রশান্তির লক্ষে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় তৃতীয় বারের মতো পালিত হলো বিশ্ব মেডিটেশন দিবস। দিবসটি উপলক্ষে রবিবার ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে উপজেলার সরই ইউনিয়নের বোধিছড়াস্থ লামা সেন্টার কোয়ান্টামমের উদ্যোগে প্রাণ আরোগ্যশালায় স্থানীয় অধিবাসী ও কোয়ান্টামের কর্মীরা সমবেত হতে থাকে। দিবসে দেশ বিদেশের লাখো মানুষের সাথে উপজেলার ৭টি ভেন্যুতে প্রায় ২ হাজারের বেশি মানুষ এ বিশ্ব মেডিটেশন দিবসে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ গ্রহণ করেন। পরে শুভ সূচনা হয় বিশ্ব মেডিটেশন দিবসের। এতে ‘সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখী জীবন’ আটোসাজেশন এবং ‘ভালো মানুষ ভালো দেশ স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’ -এ ধ্বনি উচ্চারণ করেন উপস্থিত সকলে। প্রায় চারশ মানুষের ধ্বনিতে আরোগ্য শালায় যখন ধ্বনিত হচ্ছিল, ঠিক তখনি আরোগ্যশালার সংলগ্ন কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের তিনটি ক্যাম্পাস থেকেও শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের সমস্বরে উচ্চারিত একই প্রত্যয়ন অনুরণিত হচ্ছিল পুরো এলাকাজুড়ে। এরপর কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মা-জী নাহার আল বোখারীর শুভেচ্ছাবাণী ও চেয়ারম্যান গুরুজী শহীদ আল বোখারী মহাজাতকের সংক্ষিপ্ত অডিও আলোচনা এবং মেডিটেশন। এ যৌথ মেডিটেশনে স্বর্গভূমি বাংলাদেশের ১০টি চিত্র আবলোকন করতে বলা হয়। মেডিটেশন শেষে আগামী বাংলাদেশের আবেগময় কল্পচিত্রগুলোর অনুভূতি ব্যক্ত করেন অনেকেই। তাদের মধ্যে জেসমিন আক্তার, পারভেজ আলম সহ অনেকে বলেন, মেডিটেশনের পর নিজের স্বাস্থ্য ও মনকে অনেক সুস্থ মনে হচ্ছে। যা চিকিৎসায় সম্ভব না। শেষে এক অডিও বক্তব্যে গুরুজী শহীদ আল বোখারী ‘আমাদের দেশে শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থায় মেডিটেশন অন্তর্ভুক্তির জন্যে’ সংশ্লিষ্ট সকলকে এ সময়োপযোগী পদক্ষেপের জন্যে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।
এ বিষয়ে কোয়ান্টামের অর্গানিয়ার এম মাকসুদ হোসাইন বলেন, শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পাশাপাশি মেডিটেশনের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই প্রতি বছরের ন্যয় এ বছরও দিবসটি পালন ও মেডিটেশনের আয়োজন করা হয়। এদিকে একই দিন কোয়ান্টামমের নিকটবর্তী কেয়াজুপাড়া, আন্ধারি জামালপুর স্কুল এবং বোধিছড়া পাবলিক স্কুলের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের অংশ গ্রহণে পালিত হয় বিশ্ব মেডিটেশন দিবস।