1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ০৯:১৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
ঈদগাঁওয়ে চার মাসেও বই পায়নি শিক্ষার্থীরা লামা বিভাগের মাতামুহুরী বাঁশ মহাল নিলাম না দেয়ায় কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত সরকার লামায় ১০ জুয়াড়ি আটক, ভ্রাম্যমান আদালতে জেল-জরিমানা লামায় রাহবার ফাউন্ডেশন’র ফ্রী চিকিৎসা পেলেন অর্ধ শতাধিক নারী পুরুষ মিয়ানমারে পাচারকালে ইউরিয়া সারসহ আটক ১০ পাচারকারী থানচির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করলেন বিজিবি খাগড়াছড়িতে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে গ্রেফতার ২ বান্দরবানে শতাধিক শিক্ষার্থীরা পেলেন এপেক্স ক্লাব’র শিক্ষা উপকরণ লামায় ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ’র নতুন সভাপতি মহেন্দ্র, সম্পাদক প্রণয় ও সাংগঠনিক দুর্জয় ত্রিপুরা আলীকদমে পারিবারিক কলহে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি ৩ জন লামায় বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে আরো ৫ জেলে পেলেন ২০টি উন্নত জাতের ছাগল লামায় এপেক্স ক্লাবের শিক্ষা সামগ্রী পেল শিক্ষার্থীরা লামায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালন আলীকদমে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে দুই জনকে জরিমানা বান্দরবানে ২১ কিলোমিটার হিল ম্যারাথন অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রামের চরপাথরঘাটা ভূমি অফিসে ঘুষ বাণিজ্য!

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২১ মে, ২০২৩
  • ১৮৮ বার পড়া হয়েছে
পাহাড়ের কথা ডেস্ক |

কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন ভূমি অফিস যেনো দুর্নীতির আখঁড়ায় পরিনত হয়েছে। ঘুষ ছাড়া কোন কাজই হয় না ওই অফিসে। টাকায় কথা বলে। টাকায় ফাইল খোলে। না হয় হয়রানির শিকার হতে হয় চরপাথরঘাটার সেবাপ্রার্থীদের। অভিযোগ উঠেছে, তহশিলদার উজ্জ্বল কান্তি দাশ এই অফিসে যোগদানের পর থেকেই দেদারছে চলছে ঘুষ বাণিজ্য আর অনিয়ম কার্যক্রম। সেবা নিতে গেলে পদে পদে দিতে হয় ঘুষ। সেবাপ্রার্থীদের এমনই অভিযোগ। এমনকি অধিগ্রহণের অনেক জমি পুনরায় উপজেলায় প্রস্তাব যাচ্ছে এই ভূমি অফিস থেকে। যার নাটেরগুরু তহশিলদার। কিছুদিন আগেও এই অফিসের পিয়ন মো. শহিদকে অনিয়মের অভিযোগ স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তহশিলদার উজ্জ্বল কান্তি দাশ ভূমি মালিকদের কাছে প্রথমে বর্তমান রেটে হিসাব করে বড় এমাউন্ট ধরিয়ে দেয়, পরে সমঝোতার মাধ্যমে চুক্তিতে পূর্বের রেটে বা জমির আকার পরিবর্তন করে খাজনার রসিদ কেটে দেয়। নামজারির মোকদ্দমা নিস্পত্তির পূর্বে বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষে সরেজমিনে গিয়ে নোটিশ প্রদানের নিয়ম থাকলেও তা না করে শুধুমাত্র কাগজ কলমে নোটিশ জারি করার কারণেই বিরোধপূর্ণ জমির নামজারি প্রস্তাব বা প্রতিবেদন তিনি গোপনে পাঠান বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আলী। এমনকি খসড়া খতিয়ান, নামজারীসহ বিভিন্ন কাগজপত্র তুলে দেয়ার নামেও তিনি টাকা আদায় করেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, সরকারি নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে বন্ধের দিনও তহশিলদার অফিস করেন। অন্যদিকে জমিসংক্রান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ অফিসকে ঘিরে গড়ে উঠেছে স্থানীয় একাধিক দালাল ও ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট। সকাল থেকেই জমির দালালরা এখানে হাজির হন। দালালদের কাজ করতে করতে সাধারণ মানুষের কোন কাজেই হাত দেন না তহশিলদার উজ্জ্বল। তিনি নিজেই দেন-দরবারের পাশাপাশি অফিসের পিয়ন শুভকে দিয়েও গোপন রুমে গিয়ে সেবাপ্রার্থীদের কাছে ঘুষের রফা করান। বনাবনি না হলে সেবাপ্রার্থীদের সময়ক্ষেপন করা, বিদ্যুৎ না থাকার বাহানা, ইন্টারনেটে সমস্যা, সার্ভার ডাউনসহ ৭ দিনের সমন্বয় কাহিনী শোনান সেবাপ্রার্থীদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভেতরে তৈরি করেছেন আরেকটি গোপন কক্ষ। যে কক্ষে কোন সিসিটিভি ক্যামেরা বসান হয়নি। ক্যামেরা রয়েছে তহশিলদারের ফাইলপত্রের উপর, সিঁড়ির গোড়ায় আর বাহিরে। যাতে বড় কর্তা আসলে আগাম দেখা যায়।
মো. ফরিদ নামে এক ভূক্তভোগী বিবার্তাকে বলেন, ‘একটি ব্যাংক থেকে ঋণ নিব। জমি চরপাথরঘাটা মৌজার মধ্যে। জমির খাজনা পরিশোধের রশিদ প্রমাণ স্বরূপ ব্যাংকে জমা দিতে হবে। গত তিন দিন গিয়েও খাজনা দিতে পারিনি। খাজনা দিতে নাকি ৭ দিন অপেক্ষা করতে হবে। অনলাইনের নামে নানা কাহিনী। ৭০ টাকার অনলাইন খাজনা দিতে ৫০০ টাকার ঘুষ দাবি করে।’

চরপাথরঘাটা এলাকার মো. শাহজাহান বিবার্তাকে বলেন, ‘গত বুধবার সকালে খাজনা দিতে গেছি। তহসিলদার উজ্জ্বল বাবুকে বলছি খাজনা দিব। তিনি শুনেও না শোনার মতো করে থাকলেন। পরে পিয়নকে বলেন কাগজগুলো দেখতে। পিয়ন কী বলছে কী জানি। তহশিলদার বলল অনলাইনে একাউন্ট করতে হবে। ৭ দিন সময় লাগবে।’
কিন্তু পরক্ষণেই সৈন্যেরটেক এসে কম্পিউটার দোকানে অনলাইনে আবেদন করি। তারপর অফিসে গিয়ে যখন ঘুষ দিয়েছি- তখন সমন্বয় ও খাজনা পরিশোধ হয়ে গেছে। ১৩০ টাকার খাজনা দিতে গিয়ে ২০০ টাকা ঘুষ নিছে পিয়ন শুভ। এই অফিসে তহশিলদার উজ্জ্বল বাবুর যে হাব-ভাব মনেহয় তিনিই রাজা। আমরা যারা জমির মালিক খাজনা দিতে যাই তারা গোলাম। ওই ভূমি অফিসটা দুর্নীতির আঁখড়া হয়ে গেছে। ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয় না এখানে। আমরা এসিল্যান্ডের নানা সুনাম শুনি। এসব ব্যাপারে উনার উচিত ব্যবস্থা নেওয়া।’

সূত্র জানায়, এ অফিসের কর্মকর্তা উজ্জ্বল কান্তি দাশের বিরুদ্ধে স্থানীয় সংবাদপত্রে একাধিকবার নানা অনিয়মের কর্মকাণ্ড নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলেও তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
এসব অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) উজ্জ্বল কান্তি দাশ বলেন, ‘পিয়ন শুভের ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি আমি জানি না। অফিসে গিয়ে খোঁজ নিব। অনলাইনে খাজনা দিতে গেলে সমন্বয় করতে হয়। অনেক সময় বিদ্যুৎ থাকে না। সার্ভারের সমস্যা হয়। তাই মানুষজনকে সেবা দিতে পারি না। আমরা যে হয়রানি করি তা নয়।’

তহশিলদারের কাছে জানতে চাওয়া হয় অধিগ্রহণের অনেক জমির প্রস্থাব কী করে চরপাথরঘাটা ভূমি অফিস থেকে যাচ্ছে, সরকারের নানা সংস্থা জমিগুলো যে অধিগ্রহণ করেছে তা কী ভূমি অফিসের বালামে লিখা নাই। এরপরেও কি করে আপনারা এসব খতিয়ান সৃজনে সহযোগিতা করছেন এমন প্রশ্ন করলে তহশিলদার উজ্জ্বল কান্তি দাশ আলাদা ভাবে কথা বলার চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামাল এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে এ বিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পিযুষ কুমার চৌধুরী বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে সেবা দিতে হবে। কিছুতেই হয়রানি করা যাবে না। এটা ভূমিমন্ত্রীর এলাকা। আমি কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছি সেবাপ্রার্থীরা যেন কোন ভাবেই হয়রানির শিকার না হয়। অনলাইনে এখন খাজনা কাটা যায়। তবে প্রথমবার আবেদন করে একটু অফিসে এসে সমন্বয় করতে হয়। দ্বিতীয়বার আর করতে হয় না। নিজেই ঘরে বসে খাজনা দিতে পারবেন। তবুও কেউ হয়রানি হলে সরাসরি আমাকে জানাতে পারে।’ সূত্র-বিবার্তা২৪ডটনেট

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট