1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ১১:০২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে পা উড়ে গেছে কিশোরের রোয়াংছড়িতে বিএনপি’ র সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণী কর্মসূচি উদ্বোধন লামায় তুলা চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাধারণ তুলা কৃষক প্রশিক্ষণ লামার ফাইতং ইউনিয়নে কৃষক দলের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন নাইক্ষ্যংছড়িসীমান্তের ঘুমধুমে ইয়াবাসহ এক রোহিঙ্গা যুবক আটক নয়াপাড়া কৃষি কল্যাণ সমবায় সমিতির উদ্যোগে বার্ষিক পূর্ণমিলনী ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত আজিজনগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান’র শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নাইক্ষ্যংছড়িতে ঝরনায় নিখোঁজ ছাত্র মেহরাবের লাশ ৪ দিনে মিলল রেজুব্রীজে আলীকদম সেনাবাহিনীর অভিযানে ৯ পাহাড়ি সন্ত্রাসী আটক, বিপুল অস্ত্র উদ্ধার রাঙামাটি পুলিশ উদ্ধার করলেন হারানো ৩০টি মোবাইল চকরিয়ার সাবেক এমপি জাফর আলম ১৮ দিনের রিমান্ডে রামুতে বন্যহাতির হামলায় প্রাণ গেল শিশুর রামুতে পাহাড় ধসে শ্রমিকের মৃত্যু লামায় শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের পুষ্টিকর খাদ্য ও শিক্ষা সরঞ্জাম পেলেন ৩২৩ শিশু শিক্ষার্থী উখিয়ার ইউএনও, পেশাদারিত্ব ও কর্মগুণে নাগরিক সেবায় আলো ছড়াচ্ছেন

চট্টগ্রামে মুহুর্তেই অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিল সিডিএ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩
  • ১৬১ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি |

চট্টগ্রাম কর্ণফুলী নদীর বামতীরে মইজ্জ্যারটেক টু পুরাতন ব্রিজঘাট এলাকায় প্রথম দিনের উচ্ছেদ অভিযানে পুনর্দখলের করে গড়ে তোলা ২৫০ অবৈধ স্থাপনা, ঝুঁপড়ি ও পাকা দোকান গুঁড়িয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষ (সিডিএ)।

এতে বিনা নোটিশে মুহুর্তেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় পুরাতন ব্রিজঘাট। তবে কেউ বাধা না দেওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কাউকে কারাদণ্ড বা জরিমানা করার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি।
কয়েক বছর আগেও একই স্থানে উচ্ছেদ করা হলে প্রভাবশালীরা পরে তা দখল করে কাঁচা বাজার এবং দোকান নির্মাণ করেন। উচ্ছেদ করা স্থাপনা শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোন নিলামে তোলে বিক্রি করা হয়নি। তাতে দেখা যায়, স্ব স্ব ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারেরা দোকানের জিনিসপত্র ও মালামাল কুঁড়িয়ে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

মঙ্গলবার (২৩ মে) অবৈধ এসব স্থাপনা চোখের নিমিষেই গুঁড়িয়ে দেয় সিডিএ। উচ্ছেদে অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষ (সিডিএ) এর স্পেশাল মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, এতে সিডিএ খেলার মাঠ তথা কয়লার মাঠ সংলগ্ন পুরাতন ব্রিজঘাটের আড়াই শত দোকান ঘর উচ্ছেদ করেছে সিডিএ। এতে প্রায় ৫ শত লোকের কর্মসংস্থান বিলিন হয়ে গেছে। তবে গুঁড়িয়ে দেয়া ধ্বংসস্তুপে আবারো যেন দোকান তৈরি করতে না পারে সেজন্য কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হচ্ছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ‘দোকান প্রতি দৈনিক ভাড়া ও নতুন করে ইজারার টোল গুনতে হতো তাদের। টাকা সংগ্রহ করতেন একাধিক ব্যক্তি। বাজারটি উপজেলা থেকে ইজারা দেওয়ায় পর থেকে আমাদের উপর এই বিপদ নেমে আসে। আমাদের পেটে আঘাত করেছে ইজারা দরপত্র।’
জানা যায়, দীর্ঘ ১৫ বছর পর ব্রিজঘাট কাঁচাবাজার ইজারা ও সিডিএ’র জমি খাস ঘোষণার পরেই উপজেলা প্রশাসন ও সিডিএ’র মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে অনেক চিঠি চালাচালি হলেও কোন সুরানা হয়নি। অনেকেই এর জের ধরে সিডিএ উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান। কিন্তু সিডিএ বলছেন এটি তাঁদের ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এর আগেও একাধিকবার উচ্ছেদ করা হয়েছে।

সিডিএ আরও বলছেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) এর আওতাধীন এলাকা কর্ণফুলী নদীর বামতীর মইজ্জারটেক হতে ষ্টোর ইয়ার্ড ফর ফ্লোটিং ব্রীজ (ভাসমান সেতু) পর্যন্ত (পিসি রোড) সড়কের উভয় পার্শ্বে ভাসমান অবৈধ স্থাপনা/অবকাঠামো উচ্ছেদ করা হবে।
উচ্ছেদের বিষয়ে সিডিএ নির্মাণ বিভাগ-১ এর প্রকৌশলী কাজী কাদের নেওয়াজ বলেন,‘আজকে প্রায় ২৫০ শ’র উপরে দোকানঘর উচ্ছেদ করে ৬/৭ একরের মতো জমি উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় শত কোটি টাকা মতো হবে। কালকেও এই অভিযান উচ্ছেদ চলবে।’

অভিযান প্রসঙ্গে স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী বলেন, ‘সিডিএ এর অধিগ্রহণকৃত জায়গায় অবৈধভাবে মার্কেট, দোকান ঘর, কাঁচাবাজার, কাপড়ের দোকান, কয়লার মাঠসহ বিভিন্ন রকমের স্থাপনা গড়ে তুলেছিলেন। তাই সিডিএ এর চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশে, আজ আমরা আইনানুগভাবে সেই অবৈধ স্থাপনা গুলো গুঁড়িয়ে দিয়েছি। কালকেও এ অভিযান চলবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা পুনরায় দখল করেছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি। কিছুদিন আগে এসে তাদের সবাইকে সর্তক করা হয়েছে। কিন্তু কেউ তো তাদের স্থাপনা সরাইনি। তাই উচ্ছেদ করা হচ্ছে। রাস্তা সম্প্রসারণের যে পরিকল্পনা তা বাস্তবায়নে উদ্ধার হওয়া জমি যেন পুনর্দখল না হয় সেই বিষয়ে কঠোর অভিযান চালানো হবে।’

অভিযানে পরিচালনাকালে নিরাপত্তায় ছিলেন সিএমপির ৮০ পুলিশ সদস্য (১৫ জন নারীসহ) ও কর্ণফুলী থানা পুলিশ এবং ট্রাফিক পুলিশ ফোর্স। এছাড়াও অভিযানের সময় বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সিডিএ’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট