কক্সবাজারের টেকনাফে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় উপজেলার বিভিন্ন মাছ ঘাটে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ২৫ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জব্দ করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এ সময় ৭০ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ জব্দ করে একটি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন মাছ ঘাটে মৎস্য অফিস, কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ১ লাখ ২৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৭০ কেজি মাছ জব্দ করে। তবে এ সময় কোনো জেলেকে আটক করা যায়নি। পরে জব্দকৃত কারেন্ট জালগুলো ঘাট এলাকায় পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং ৭০ কেজি মাছ স্থানীয় একটি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। ধ্বংসকৃত কারেন্ট জালের আনুমানিক মূল্য ৩৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, সামুদ্রিক মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সরকার কর্তৃক ঘোষিত সময়কাল তথা ২০ মে হতে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সাগরে নৌযান কর্তৃক সকল প্রকার মৎস্য আহরণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে। তা অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন টেকনাফ উপজেলা জ্যৈষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার নাজমুল হাসান, টেকনাফ নৌ-পুলিশের ওসি বিদ্যুৎ ও উপজেলা মৎস্যঅফিসের সহকারী শহিদুল আলমসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।