1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:০৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
আলীকদমে অপার নির্জনতার নাম ‘চেয়ারম্যান লেক’ আলীকদমে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা দিলেন চট্টগ্রাম লায়ন্স ক্লাব গোল্ডেন সিটি ইয়াংছা উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা ‘২৫ অনুষ্ঠিত নাইক্ষ্যংছড়িতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি গঠিত রামুর ডাকাত শাহীনের সহযোগী আবছার অস্ত্রসহ নাইক্ষ্যংছড়ির বিজিবির হাতে আটক   লামায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর’র অভিযান লামায় পাহাড় ধস, লামামুখ – রাজবাড়ী সড়ক যোগাযোগ বন্ধ লামার গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবধর্ণা লামায় প্রান্তিক কৃষক ও বেকার নারীদের উন্নয়নে বিনামুল্যে গাছের চারা, গবাদিপশু, সেলাই মেশিন ও আর্থিক অনুদান মিয়ানমারের বিদ্রোহি আরাকান আর্মির গোলাগুলিতে ছোঁড়া গুলি এসে পড়লো এপারে নাইক্ষ্যংছড়িতে জেলা পরিষদের উদ্দ্যোগে গবাদিপশুর, সেলাই মেশিন ও অর্থ বিতরণ করেন এ্যাড. আবুল কালাম  লামায় জীনামেজু টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট’র কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত লামায় পর্যটন কটেজে এক পর্যটকের আত্মহত্যা লামায় পরিবেশ বিধ্বংসী ৬ লাখ ২৭ হাজার গাছের চারা ধ্বংস কার্যক্রম শুরু

কক্সবাজারে একদিনে ১০ হাজার মানুষকে রান্না করে খাওয়ালেন ইউএনও পূর্বিতা

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০২৩
  • ২৪২ বার পড়া হয়েছে
পেকুয়া প্রতিনিধি |

টানা তিনদিন পানিবন্দী থাকার পর পানি নামতে শুরু করেছে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায়। পেকুয়া সদরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামের অন্তত ৩ হাজার পরিবার বন্যায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকট।
তবে দুর্গত মানুষের দুর্ভোগ কমাতে খাদ্যসহ মানবিক সহায়তা নিয়ে নিরলসভাবে বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা। তিনি মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে খাবার বিতরণ করছেন। দুর্গত মানুষের জন্য একজন নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এমন কর্ম তৎপরতা এলাকায় প্রশংসা কুড়িয়েছে।
এদিকে আজ শুক্রবার (১১ আগস্ট) পেকুয়ায় বন্যা দূর্গত এলাকা পরিদর্শনে আসছেন দূর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান শামিম এমপি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনও বলেন, মন্ত্রী মহোদয় কাল দুর্গত এলাকা পরিদর্শন এবং পেকুয়ার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করার কথা রয়েছে।
পূর্বিতা চাকমা বলেন, “বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও এখনও দুর্গত এলাকায় এখন মানুষ চুলা জ্বালতে পারছেনা। তাছাড়া সবার ঘরে চাল চুলো থাকলেও তা পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনায় আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি অন্তত সবার মুখে কোনো না কোনো খাবার তুলে দিতে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) একদিনেই দশ হাজার মানুষের জন্য খাবার রান্না করা হয়ে জানিয়ে তিনি বলেন, পানি নেমে যাওয়ায় কিছু কিছু মানুষ বাড়ি ঘরে ফিরলেও রান্না করতে পারছেন না। যে কারণে খাবারের সংকট আছে। সুপেয় পানির সংকট আছে। আমরা সেই সংকট মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছি।
“বৃহস্পতিবার ১০ হাজার মানুষের জন্য খাবার রান্না করেছি। এখন সন্ধ্যা নেমেছে। খাবার বিতরণ এখনো চলছে। যোগ করেন পূর্বিতা।
জেলা প্রশাসন থেকে ২৫ মেট্রিক টন চাল আর তিনলাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়ার কথা জানিয়ে ইউএনও বলেন,এসব বরাদ্দের বেশিরভাগ ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।
এছাড়াও দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি , কোস্টগার্ড, পুলিশ, বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন সাধ্যমত এগিয়ে এসেছে। আশা করছি, আমরা এ মানবিক সংকট মোকাবিলা করতে পারবো। বলেন পূর্বিতা।
এছাড়াও বন্যার পানি পুরোপুরি নেমে গেলে ঘরবাড়ি,রাস্তাঘাট, মৎস্যঘের, ক্ষেত খামারসহ উপজেলার যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
এলাকার মানুষের এমন দুর্যোগে ইউএনওর নিরলস প্রচেষ্টাকে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসাবে দেখছেন সচেতন মহল।
পেকুয়া সদরের ফল ব্যবসায়ী তারেক বলেন, বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে ইউএনও নৌকায় করে আমাদের বাড়িতে গিয়ে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। একই ভাবে খাবার নিয়ে তিনি অনেকের বাড়ি বাড়ি গেছেন। তাঁর এমন আন্তরিকতা দেখে সত্যিই আমরা দুর্ভোগের কথা ভুলে গেছি।
পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা সমাজকর্মী জেবুন্নেছা (৪৮) বলেন, আমি যতটুকু জেনেছি, বন্যা কবলিত হওয়ার পর থেকে তিনি ( ইউএনও) নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় করে এ বাড়ি,ওবাড়ি, এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে ছুটে গেছেন। যতটুকু পেরেছেন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন দুর্গত মানুষের দিকে। এটি আমাদের জন্য আশা ব্যঞ্জক।
“আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছি,যেন পেকুয়াবাসী এ দুর্যোগ কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে।” বলেন জেবুন্নেছা।
প্রসঙ্গত কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষন ও পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন, শিলখালী, টৈটংসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের অন্তত লক্ষাধিক মানুষ ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয়। এছাড়া সাপের ছোবল,বিদ্যুৎস্পৃষ্ট এবং খালের পানিতে ডুবে তিন শিশুসহ এ পর্যন্ত এখানে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের হিসাব মতে, জেলার ৯ উপজেলার ৭১ ইউনিয়নের মধ্যে ৬০ ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়। এরমধ্যে চকরিয়া ও পেকুয়ার রয়েছে ২৫ ইউনিয়ন। চকরিয়ায় ৩ লাখ ৯০ হাজার ৫০০জন এবং পেকুয়ায় ৮৫ হাজার মানুষ বন্যায় চরম দুর্ভোগের শিকার হয়।
পানির স্রোতে জেলায় প্রায় ৫৯ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় পাহাড় ধস,বন্যার পানিতে ভেসে, সাপের ছোবলে, বিদ্যুৎস্পৃষ্টসহ ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত দূর্গত এলাকায় ৫৮ মেট্টিকটন চাল ও নগদ ৭ লাখ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৫০০টি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট