বান্দরবান প্রতিনিধি |
বান্দবানের থানচি উপজেলার দুই ইউনিয়ন— রেমাক্রী ও তিন্দুতে পর্যটকদের ভ্রমণে জারি করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহা. আবুল মুনসুর বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকেই পর্যটকরা থানচি উপজেলায় ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে প্রশাসনের অনুমতিবিহীন স্থানে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।’
তিনি জানান, টানা ভারী বর্ষণের কারণে সাঙ্গু নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় ও দেশী-বিদেশি পর্যটকদের থানচির দুই ইউনিয়নে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। বর্তমানে সাঙ্গু নদীর পানি স্বাভাবিক হওয়াতে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ইউএনও বলেন, ‘পর্যটকরা থানচি থেকে রেমাক্রী পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে নাফাকুম, আমিয়াকুম, সাতভাই কুমসহ অনান্য পর্যটন স্পট ভ্রমণে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।’
এদিকে বান্দরবান-থানচি সড়ক যোগাযোগ এখন বিছিন্ন রয়েছে। চিম্বুক পোড়া পাড়া এলাকায় ভারী বৃষ্টিতে প্রায় ১০ একরের মতো এলাকা সড়কে ধসে পড়ে। এছাড়াও সড়ক জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে ছোট-খাট খানাখন্দ ও ধসে পড়া মাটি। তবে বিকল্প হিসেবে পাহাড় কেটে সড়ক তৈরি করা হবে বলে জানা গেছে।
চিম্বুক সেনাবাহিনী ২০ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের ওয়ারেন্ট অফিসার রাহুল হাসান পার্থ বলেন, ‘সড়কজুড়ে পাহাড় ধসে পড়া মাটি চিম্বুক পোড়া পর্যন্ত অপসারণ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দুটি সেনা টিম এই মুহূর্তে রুমা ও থানচি সড়কের মাটি অপসারণের কাজ করে যাচ্ছে। আগামীকাল থানচির চিম্বুক পোড়া পাড়া এলাকায় সড়ক বিকল্প হিসেবে পাহাড় কাটিং করা হবে। এরপর সড়ক তৈরি করে দ্রুত যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হবে।’