1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০৩:০৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
রাঙামাটি পুলিশ উদ্ধার করলেন হারানো ৩০টি মোবাইল চকরিয়ার সাবেক এমপি জাফর আলম ১৮ দিনের রিমান্ডে রামুতে বন্যহাতির হামলায় প্রাণ গেল শিশুর রামুতে পাহাড় ধসে শ্রমিকের মৃত্যু লামায় শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের পুষ্টিকর খাদ্য ও শিক্ষা সরঞ্জাম পেলেন ৩২৩ শিশু শিক্ষার্থী উখিয়ার ইউএনও, পেশাদারিত্ব ও কর্মগুণে নাগরিক সেবায় আলো ছড়াচ্ছেন লামায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ’র সাফল্য, মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলেন ২৫ শিক্ষার্থী বন্ধ হয়ে গেল লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ির সিনেমা হল : রইল না আর এ তিন উপজেলার চিত্তবিনোদনের কোন ব্যবস্থা দুর্গম আলীকদমে দুঃসাহসিকতার বলি: ট্যুর এক্সপার্ট গ্রুপের অব্যবস্থাপনার চিত্র নিয়ে বিশ্লেষণাত্মক প্রতিবেদন আলীকদমে ইয়াবা সহ ৩ জন আটক কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন, পূর্ণপ্যানেলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হাসিম-আনছার প্যানেল জাতীয় নাগরিক কমিটি’র বান্দরবান জেলা সমন্বয় কমিটি অনুমোদন আলীকদমে নিখোঁজ দুই পর্যটকের মধ্যে এক নারী পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ১ লামায় পর্যটন রিসোর্ট মালিকদের প্রতি সেনাবাহিনী’র নির্দেশনা লামায় বিএনপি’র ঈদ পুর্ণমিলনী

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চট্টগ্রামের দুই লাখ কৃষক

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০২৩
  • ৩৪২ বার পড়া হয়েছে

পাহাড়ের কথা  ডেস্ক |

স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা প্রায় সপ্তাহখানেক ডুবে ছিল। ৩ আগস্ট থেকে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট এই বন্যার পানিতে তলিয়ে মারা গেছেন প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ। শুধু প্রাণ কেড়ে নিয়ে থামেনি বন্যা। কেড়ে নিয়েছে কৃষকের বেঁচে থাকার শেষ সম্বলটুকুও।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অধীনে থাকা চার জেলাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৯৭ জন কৃষক। আর ক্ষতির পরিমাণটাও কম নয়- ৩১১ কোটি টাকার বেশি। বন্যার পর ক্ষতির এই তালিকা তৈরি করেছে অধিদপ্তর।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অধীনে থাকা ক্ষতিগ্রস্ত এই চার জেলা হলো চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর। এসব জেলার কৃষকরা আউশ ধান, রোপা আমন ধান, আমন বীজতলা, গ্রীষ্মকালীন ও শরৎকালীন সবজি চাষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

ক্ষতি ৩১১ কোটি টাকার ফসল
অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চার জেলায় সব মিলিয়ে ৫০ হাজার ৪০৪ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ১ লাখ ১২ হাজার ২৮৭ মেট্রিক টন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এর মধ্যে চট্টগ্রামের ৩০ হাজার ২৬৬ হেক্টর ফসলি জমি আক্রান্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ ১৮৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। কক্সবাজার জেলায় ১৫ হাজার ৭৭৮ হেক্টর জমি বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে ৫ হাজার ৪৪৫ হেক্টর ফসলি জমির ফলন একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।

এ ছাড়া ফেনী উপজেলায় মোট ৩৪ হাজার ১৫৮ হেক্টর জমি আক্রান্ত হয়েছে বন্যায়। এতে সব মিলিয়ে ৬০৯ মেট্রিক টন ফসল নষ্ট হয়েছে। অন্যদিকে লক্ষ্মীপুর জেলায় ২৮ হাজার ৮৫৩ হেক্টর জমি আক্রান্ত হয়েছে। এতে নষ্ট হয়েছে ২ হাজার ৫৬২ টন ফসল।

ক্ষতিগ্রস্ত ১৯১৭৯৭ কৃষক
বন্যায় চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলার কৃষকরা। সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের কৃষক আমির হোসেন প্রায় ১১ কানি (৪ দশমিক ৪০ একর) জমিতে ধান চাষ করেছিলেন। তার মধ্যে দুই কানি (৮০ শতক) জমিতে আউশ ধান চাষ করেন তিনি। একরাশ হতাশা নিয়ে আমির বলেন, ‘ধানের শীষ আসার সময়েই বন্যাটা এল, আর সব ভাসিয়ে নিয়ে গেল।’

একইভাবে সব হারিয়ে চোখে সরষে ফুল দেখছেন চন্দনাইশের ধোপাছড়ি ইউনিয়নের কৃষক জামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, বন্যায় আমার ৫ একর ফসলি জমির পুরোটাই ভেসে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক অরবিন্দ কুমার রায়। তিনি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেয়ার জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের আমনের বীজ দেয়া গেলে আবার বীজতলা তৈরি করে চারা রোপণ করতে পারবেন। যদি সেটি সম্ভব না হয়, আমরা আগামী শীতকালীন চাষে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রণোদনার ব্যবস্থা করব।’| সূত্র- দৈনিক বাংলা

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট