1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০২:২০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
রোয়াংছড়িতে সংবর্ধনায় মাওসেতুং তঞ্চঙ্গ‍্যা বাঘাইছড়িতে ইউপিডিএফ-জেএসএস গোলাগুলি, নিহত ১ ডুলাহাজারা কলেজের পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তনে বিপাকে শিক্ষার্থীরা, পুনর্বহালের দাবি ঈদের ছুটিতে খুলছে রুমার পর্যটন, যেসব জায়গায় যাওয়া যাবে বান্দরবান জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন : জেরী আহবায়ক, জাবেদ সদস্য সচিব নির্বাচিত লামায় ঈদ উল আযহা নামাজ’র সময় সূচী লামায় পর্যটন স্পটে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার লামায় জীনামেজু টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট শিক্ষকরা পেলেন ঈদ উপহার চকরিয়ায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান, গ্রেপ্তার ১ নাইক্ষ্যংছড়িতে আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা পেলেন ঈদ উপহার লামায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল সিঙ্গাপুর জিমন্যাস্টিকস ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জয় করে নিলেন লামার কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের জিমন্যাস্টরা লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালন নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়িতে বিদ্যুৎ ও সড়ক যোগাযোগ বিপর্যস্ত লামায় পুষ্টি বিষয়ক চিত্রাঙ্কন কুইজ ও উপস্থিত বক্তৃতার পুরস্কার বিতরণ

খাগড়াছড়িতে পরিত্যক্ত ভবন বিক্রির টাকা লোপাট: সমঝোতায় কারসাজির অভিযোগ নিলামে

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৩
  • ২৫৪ বার পড়া হয়েছে

পাহাড়ের কথা ডেস্ক |

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সরকারি পরিত্যক্ত ভবন নিলাম নিয়ে একের পর এক অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে আসছে। অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, ভবনটি বিক্রির জন্য নিলামই হয়নি। নিলামে অংশগ্রহণকারী হিসেবে যে তিনজনের নাম দেখানো হয়েছে, তাদের দুজনই নিলামের দিন উপস্থিত ছিলেন না। শুধু তাই নয়, নিলামের গোটা প্রক্রিয়াটিই মূলত সমঝোতার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়েছে। নিলামে অংশগ্রহণকারী হিসেবে যাদের নাম বলা হচ্ছে, তারাই স্বীকার করেছেন এসব তথ্য।

গত ১৬ জুন দৈনিক বাংলায় ওই নিলাম প্রক্রিয়ায় অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ‘নিলামে বিক্রির সাড়ে ৩ লাখ টাকার ২ লাখই গায়েব’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি ছাপা হলে সমালোচনার মুখে পড়েন সংশ্লিষ্টরা। এ পরিস্থিতিতে কথিত নিলাম ডাকের বৈধতা প্রকাশ করতে প্রশাসন নিয়েছে নতুন কৌশল।

বলা হচ্ছে, গত ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে নিলাম, যাতে অংশ নিয়েছিলেন তিনজন। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ এক লাখ ৪০ হাজার টাকা দর দিয়েছিলেন বোয়ালখালী কামাকুছড়া এলাকার রাজ্যময় চাকমা। এ ছাড়া কবাখালী মুসলিম পাড়ার নুর হোসেন এক লাখ ৩৬ হাজার টাকা এবং দীঘিনালা থানাপাড়ার বিল্লাল হোসেন এক লাখ ৩৩ হাজার টাকা দর দিয়েছিলেন।

দৈনিক বাংলার অনুসন্ধান বলছে, প্রকৃতপক্ষে ভবনগুলো সাড়ে তিন লাখ টাকায় আলোচনার মাধ্যমে কিনে নেন কাগজে দেখানো তৃতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা বিল্লাল হোসেন। তিনি জানান, গোটা প্রক্রিয়া এক ব্যক্তির বাসায় বসে নুর হোসেনের (কাগজে দেখানো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা) সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে চূড়ান্ত করা হয়।

বিল্লাল বলেন, নিলাম বলতে কিছুই হয়নি। আমি নিলামে অংশ নেইনি, কোনো কাগজপত্রেও সই দেইনি। সাড়ে তিন লাখ টাকা দিয়ে কিনে নিতে পারলে নিলামে কি আর এক লাখ ৩৩ হাজার টাকা ডেকে তৃতীয় দরদাতা হতাম? আবার পরে ওই ভবন দুই লাখ টাকা বাড়িয়ে দিয়ে কিনে নিতাম?

সর্বোচ্চ দরদাতা রাজ্যময় চাকমাও জানান একই কথা। নিলামের যে তারিখ বলা হচ্ছে, সেদিন তিনি ব্যক্তিগত কাজে চট্টগ্রাম অবস্থান করছিলেন। সংশ্লিষ্ট কাগজে তার যে মোবাইল নম্বর দেয়া আছে, সেটিও তার নয়। মোবাইল নম্বরটিতে কল দিলে রিসিভ করলেন কথিত নিলামে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা নুর হোসেন। সাংবাদিক পরিচয় শুনেই তিনি কোনো কথা না বলেই কল কেটে দেন।

গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে রাজ্যময় চাকমা বলেন, ‘এটি একটি লাভের কাজ। কাজটিতে যুক্ত থাকলে লাভ হবে বলা হয়েছিল। পরে আমি রাজি হলে আলোচনার মাধ্যমেই লোক দেখানো প্রক্রিয়াটি কাগজে-কলমে নিলাম সম্পন্ন করা হয়।’

রাজ্যময় অকপটে বলেন, ‘মূলত এটি সমঝোতা (নেগোসিয়েশন)। তবে কার ভাগে কতটুকু লাভ থাকবে, পার্টনারদের সঙ্গে হিসাবের পর বলা যাবে।’

নিলাম সম্পর্কে কিছুই জানতেন না স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তারা। দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মোস্তফা কামাল মিন্টু বলেন, উপজেলা পরিষদের কোনো ভবন নিলামে বিক্রি বা কোনো নিলাম ডাকের কিছুই শুনিনি। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি জানতে পেরেছি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবদুস সালামও নিলাম ডাকের বিষয়ে কিছু মনে করতে পারছেন না। নিলাম ডাকের কোনো নথিতে সই করেছেন কি না, সেটিও তার স্মরণে নেই।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী অরুণ কুমার দাশ বলেন, নিলাম প্রক্রিয়াটি নিয়মের মধ্যে হয়নি।

এ ব্যাপারে কথা বলতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আরাফাতুল আলমের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। জানতে চাইলে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউএনওর সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব। সূত্র-দৈনিক বাংলা

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট