1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ১০:১৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
লামায় জব্দকৃত বালুর নিলাম বন্ধের দাবী জানিয়ে জেলা প্রসাশক বরাবরে আবেদন লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা নির্ধারণ পরিবেশ অধিদপ্তরের থামচিতে এক নারীর লাশ উদ্ধার চকরিয়ায় বন্যহাতির আক্রমণে নিহত বৃদ্ধ লামায় টমটমের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু লামায় বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন’র কর্মবিরতি পালন লোহাগাড়ায় জাল টাকার নোটসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ঈদগাঁওয়ে চার মাসেও বই পায়নি শিক্ষার্থীরা লামা বিভাগের মাতামুহুরী বাঁশ মহাল নিলাম না দেয়ায় কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত সরকার লামায় ১০ জুয়াড়ি আটক, ভ্রাম্যমান আদালতে জেল-জরিমানা লামায় রাহবার ফাউন্ডেশন’র ফ্রী চিকিৎসা পেলেন অর্ধ শতাধিক নারী পুরুষ মিয়ানমারে পাচারকালে ইউরিয়া সারসহ আটক ১০ পাচারকারী থানচির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করলেন বিজিবি খাগড়াছড়িতে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে গ্রেফতার ২ বান্দরবানে শতাধিক শিক্ষার্থীরা পেলেন এপেক্স ক্লাব’র শিক্ষা উপকরণ

লামার কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষার চান্স পেয়েছেন ২২ শিক্ষার্থী

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৩
  • ৯৯৫ বার পড়া হয়েছে

মো. নুরুল করিম আরমান |
বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ থেকে এ বছর এইচ.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪২ জনের মধ্যে ২২ জন ছাত্রই ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় সহ দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষার চান্স পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন ৮ জন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ জন শিক্ষার্থী। বাকিরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছেন আরও ১৪ জন শিক্ষার্থী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছোট বেলা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার খুব ইচ্ছে ছিল আবরার রাফির। এবার সে স্বপ্ন পুরণ হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে চান্স পাওয়ার মধ্য দিয়ে। প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তি বেশি উল্লেখ করে আবরার রাফি বলেন, এই সুস্পষ্ট মনছবি আমি দেখেছি আমার স্কুলে থাকা অবস্থায়। তাই আত্মবিশ্বাস নিয়ে পরিশ্রম করেছি। তায় আল্লাহ তায়ালার কাছে আমি যতটুকু চেয়েছি তারচেয়েও বেশি পেয়েছি। আমি অত্যন্ত খুশি। এই ফলাফল আসলেই অনেক আনন্দের। আমি চেষ্টা করেছি, আল্লাহ সফলতা দিয়েছেন। এই অনুভুতি আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। নিজের সম্মান, কোয়ান্টাম স্কুল এন্ড কলেজ সহ পরিবারের জন্য কিছু করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। শিক্ষকগণ ও আমার পরিবারের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
একই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগে মেধাতালিকায় ভর্তি হন অরবিশ চাকমা। তিনি বলেন, আমি আগে থেকেই লক্ষ্য ঠিক করেছিলাম আমি কোটা নয় মেধা তালিকায় ভর্তি হব এবং প্রভুর কৃপায় ও আমার স্কুলের প্রচেষ্টায় তা-ই পেরেছি। চারুকলায় ড্রইং এন্ড পেইন্টিং বিভাগে চান্স পাওয়া ছাত্রের একজন ইয়াইয়ং ম্রো। পাশের আলীকদম উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা কুরুকপাতা ইউনিয়নের ক্রংলেং পাড়া থেকে যখন কোয়ান্টাম কসমো স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়ে যান বড় ভাই, তখন ইয়াইয়ং ¤্রাে’র ছিল বয়স মাত্র ৫ বছর। বাবা মারা যাওয়ার পর মা ও চার ভাইবোনকে নিয়ে সংসার চালানো বড় ভাইয়ের পক্ষে কষ্টকর হয়ে যায় বলে ছোট ভাইটিকে দূরের এ স্কুলে দিতে হয়েছিল। সেই ছোট্ট ইয়াইয়ং এখন একজন প্রাণবন্ত তরুণ, স্কুলে থাকা অবস্থায় ভলিবলে সে আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতায় যেমন সাফল্য অর্জন করেছেন, তেমনি ছবি আঁকা ও লেখাপড়ায় দিয়েছিল সমান মনোযোগ। ইয়াইয়ং ¤্রাের বড় ভাই বলেন, যেদিন ছোট ভাই ইয়াইয়ং ম্রো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছেন, সেদিন পাড়ার লোকজন অনেক আনন্দ করেছেন।
এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন নাজমুল হাসান। আর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া ৮ জনের মধ্যে মিনহাজ উদ্দিন ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগে, শহিদুল্লাহ ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যালয়, ¯েপার্টস সায়েন্স ও ফিজিক্যাল এডুকেশনে ভর্তি হয় তালহা জুবায়ের, অম্রাসিং মার্মা, থনওয়াই ম্রো ও বেনদিকার বম এবং পালি বিভাগে প্রাচুর্য চাকমা ও হ্লাথোয়াইছা চাক ভর্তি হয়েছেন।
২২ শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে কোয়ান্টাম শিক্ষা সেবা কার্যক্রমের ইনচার্জ ছালেহ আহমদ বলেন, দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ। প্রতিবছর আল্লাহর অশেষ রহমতে দেশের প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় আমাদের শিক্ষার্থীরা সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন করছে। তিনি আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে পরিচালিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করে এ পর্যন্ত ২ শতাধিক শিক্ষার্থী বুয়েট, মেডিকেল ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন। আশা করি আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এদিকে বান্দরবান জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসাইন জানান, শিক্ষার মানের দিক দিয়ে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ অনেক এগিয়ে রয়েছে। তাই এ প্রতিষ্ঠান থেকে এত শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ সম্ভব হয়েছে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট