1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
চকরিয়ায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান, গ্রেপ্তার ১ নাইক্ষ্যংছড়িতে আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা পেলেন ঈদ উপহার লামায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল সিঙ্গাপুর জিমন্যাস্টিকস ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জয় করে নিলেন লামার কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের জিমন্যাস্টরা লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালন নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়িতে বিদ্যুৎ ও সড়ক যোগাযোগ বিপর্যস্ত লামায় পুষ্টি বিষয়ক চিত্রাঙ্কন কুইজ ও উপস্থিত বক্তৃতার পুরস্কার বিতরণ নাইক্ষ্যংছড়িতে গর্জনিয়া-জুমছড়ি সড়ক ধসে পড়ার আশঙ্কা, স্থানীয়দের বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি নাইক্ষ্যংছড়িতে জব্দকৃত গরু ছিনিয়ে নিতে হামলা, বিজিবির ৩ সদস্যসহ আহত ৪ সমাজকল্যাণ মূলক প্রবন্ধ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন লামায় পাহাড় ধ্বসে প্রাণহানির শঙ্কায় পর্যটন রিসোর্ট বন্ধ ঘোষণা, ঈদের আগে খুলে দেয়ার দাবী রিসোর্ট মালিকদের খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধস মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলা, ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের ফাঁসির রায় বহাল লামায় ‘লাউদাতো সি’ সপ্তাহ উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গাছের চারা রোপন ও বিতরণ লামায় পিআইডির মতবিনিময় সভা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৪০৭ বার পড়া হয়েছে
চবি প্রতিনিধি ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ১১ ফুট লম্বা একটি অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ সংলগ্ন হিল বটম কলোনির পাশ থেকে এটি উদ্ধার করা হয়। পরে অজগরটি পাশের জঙ্গলে জনমানবহীন স্থানে অবমুক্ত করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ভেনম রিসার্চ সেন্টারের শিক্ষানবিশ গবেষক রফিকুল ইসলাম বলেন, এটি বার্মিজ পাইথন প্রজাতির সাপ। লম্বায় ১১ ফুট ও ওজন প্রায় ১৩ কেজি। সাপটি খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে এসেছে বলে ধারণা করছি। আমরা সাপটি উদ্ধার করে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দিয়েছি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অজগর সাপ ধরা পড়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে সাপ রাখার একটি কেন্দ্র আছে। গত দশ বছরে অন্তত ২০টি অজগর সাপ ধরা পড়ার কথা জানান চবির নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক।বাংলাদেশ বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণি গবেষক জোহরা মিলা জানান, বার্মিজ অজগর (Burmese python) সাধারণ অজগর (Rock Python) বা ময়াল সাপের চেয়ে তুলনামূলক ভারী। সুন্দরবনে এই প্রজাতির অজগরের আধিক্য বেশি। নির্বিষ এই সাপটি নিশাচর ও খুবই অলস প্রকৃতির, প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা নড়াচড়া করে না। এই প্রজাতিটি একাকী বাস করলেও শুধু প্রজননকালে জোড়া বাঁধে। সাধারণত মার্চ থেকে জুনের মধ্যে এদের প্রজননকাল। দেশের ম্যানগ্রোভ বন, ঘাসযুক্ত জমি, চট্টগ্রাম ও সিলেটের চিরসবুজ পাহাড়ি বনে এদের দেখা পাওয়া যায়। সাপটি সাধারণত মানুষের ক্ষতি করে না। খাদ্য হিসেবে এরা সাধারণত ইঁদুর, ‍মুরগি, শূকর, শিয়ালসহ ছোট থেকে বড় আকারের স্তন্যপায়ী প্রাণি, সরীসৃপ প্রাণি ইত্যাদি খেয়ে থাকে। এটি নিজের আকারের চেয়েও অনেক বড় প্রাণি খুব সহজেই গিলে খেতে পারে।তিনি আরো বলেন, চামড়ার জন্য সাপটি পাচারকারীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। ফলে আমাদের বনাঞ্চল থেকে এটি দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণি (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর তফসিল-২ অনুযায়ী এ বন্যপ্রাণিটি সংরক্ষিত, তাই এটি হত্যা বা এর যে কোনো ক্ষতি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
সম্প্রতি অজগরের লোকালয়ে চলে আসার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাহাড় ও বন উজাড় হওয়ার কারণে সাপের আবাসস্থল সংকুচিত হয়ে গেছে। এতে তাদের খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই খাবারের সন্ধানে সাপগুলো লোকালয়ে আসছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট