রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি |
বিগত টানা বর্ষণে পাহাড়ি জেলা রাঙ্গামাটির বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড়ধসসহ সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর আওয়তায় মোট ২৩টি সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার দৈর্ঘ্য ২৪ কিলোমিটার। এছাড়াও ছোটখাটো অনেক সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সব মিলে ২৪৫ কিলোমিটার সড়ক। তবে ২৪ কিলোমিটার সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়কগুলো মেরামত করতে প্রায় ৪৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে জানিয়েছে,রাঙ্গামাটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
রাঙ্গামাটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে আরো জানা গেছে, রাঙ্গামাটি সদর, কাউখালী, কাপ্তাই, রাজস্থলী ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বিশেষ করে কাউখালী উপজেলায় সড়কের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে, সবগুলো সড়ক ছোটখাটো মেরামত করে চালু করে দেয়া হয়েছে। কোনো সড়ক ব্লক নেই।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আহামদ শফি জানান, বিগত টানা বর্ষণে রাঙ্গামাটি জেলায় সড়কের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে এলজিইডি এর আওয়তায় রাঙ্গামাটি জেলায় ২৩টি সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার দৈর্ঘ্য ২৪ কিলোমিটার। এছাড়াও ছোটখাটো সবমিলিয়ে ২৪৫ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ২৪ কিলোমিটার সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ২৪ কিলোমিটার রাস্তা মেরামত করতে গেলে তাদের প্রায় ৪৬ কোটি টাকা লাগে। এগুলো সহ আরো নতুন কিছু রাস্তা ধরে মোট ১০০ কোটি টাকার ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি থেকেও একটি তালিকা করে প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে সাবমিট করা হবে। এই প্রকল্প পাশ হলে সড়ক মেরামতের কাজ ধাপে ধাপে করা হবে।
এদিকে রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপথ(সওজ) অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,বিগত টানা বৃষ্টিতে রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপথ(সওজ) অধিদপ্তর এর আওয়তায় প্রায় ৪৪টি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ১দশমিক ৭ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সড়কগুলো সংস্কার ও রক্ষাপদ কাজ করতে প্রায় ৯ কোটি টাকা প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপথ(সওজ) অধিদপ্তর এর নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানান,রাঙ্গামাটি সড়ক বিভাগের আওয়তাধীন যে সকল সড়ক রয়েছে,বিগত বর্ষায় তা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে স্থানীয়ভাবে সড়কগুলো মেরামত করে যানচলাচল সচল রাখা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ অর্থবছরে বরাদ্দ পেলেই সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।