1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
নাইক্ষ্যংছড়িতে গর্জনিয়া-জুমছড়ি সড়ক ধসে পড়ার আশঙ্কা, স্থানীয়দের বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি নাইক্ষ্যংছড়িতে জব্দকৃত গরু ছিনিয়ে নিতে হামলা, বিজিবির ৩ সদস্যসহ আহত ৪ সমাজকল্যাণ মূলক প্রবন্ধ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন লামায় পাহাড় ধ্বসে প্রাণহানির শঙ্কায় পর্যটন রিসোর্ট বন্ধ ঘোষণা, ঈদের আগে খুলে দেয়ার দাবী রিসোর্ট মালিকদের খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধস মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলা, ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের ফাঁসির রায় বহাল লামায় ‘লাউদাতো সি’ সপ্তাহ উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গাছের চারা রোপন ও বিতরণ লামায় পিআইডির মতবিনিময় সভা লামায় কিশোরীদের ‘মাসিক স্বাস্থ্য বিধি’ খাগড়াছড়িতে তিন দিনব্যাপী ভূমি মেলা লামায় ভূমি মেলা উপলক্ষে গণশুনানি মারাইংতং জাদী রক্ষায় মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি: আইনি পদক্ষেপের দাবি.. নাইক্ষ্যংছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা খেলার মাঠের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান দৈনিক নীলগিরি পত্রিকার যাত্রা শুরু লামা উপজেলার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি’র মতবিনিময়

ধুঁকছে রাঙামাটির পর্যটন শিল্প

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ২৬২ বার পড়া হয়েছে
পাহাড়ের কথা  ডেস্ক |
প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক এখানে তাদের স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসেন। সারাদিন কাপ্তাই হ্রদ, ঝুলন্ত সেতু দেখে বাড়ি ফিরতে হয় হতাশ হয়ে। যে আবেগ নিয়ে এখানে বেড়াতে আসেন, ক্ষণিক পর সেই আবেক উবে যায়। কারণ, পুরো শহর অপরিচ্ছন্ন, যত্র-তত্র গাড়ি পার্কিং, চাহিদামানের হোটেলে-মোটেলের অভাব, অটোরিকশার বিকল্প যানের ব্যবস্থা না থাকা এবং অপরূপ কাপ্তাই হ্রদের দূষণ এবং দখল।

রাঙামাটির সিম্বল খ্যাত ‘ঝুলন্ত সেতু’ দেখতে প্রতি বছর হাজারো পর্যটক ছুটে আসেন। বছরের একটি সময় ঝুলন্ত সেতু হ্রদের পানিতে ডুবে থাকে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা দীর্ঘ বছর ধরে সেতু সংস্কার বা উঁচু স্থানে বসানোর দাবি জানিয়ে এলেও পর্যটন করপোরেশনের উদাসীনতা, স্থানীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানের দায়সারা ভাবের কারণে ঝুলন্ত সেতুটির কোনো উন্নয়ন করা হয়নি। পর্যটকরা ঝুলন্ত সেতু না দেখে হতাশ হয়ে ফিরছেন।

পর্যটকদের আরেকটি সমস্যা হলো, যেখানে পর্যটন স্পট গড়ে উঠেছে সেখানে কোনো শৌচাগার নেই। নেই কোনো নিরাপত্তা। পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের ভয়ে প্রায়ই তারা তটস্থ থাকেন। ইঞ্জিন চালিত বোটের চালকদের অদক্ষতার কারণে হ্রদে অনেক পর্যটকের প্রাণহানি ঘটেছে।

পর্যটন দিবস (২৭ সেপ্টেম্বর) এলে এ অঞ্চলে জনপ্রতিনিধিরা পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের গল্প শোনালেও গল্প গল্প থেকেই যায়, উন্নয়ন থেকে যায় ফাইলবন্দি। পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সঠিক কোনো গাইড লাইন না থাকার কারণে জেলার পর্যটন শিল্প দিন দিন ধুঁকছে।

পটুয়াখালী জেলা থেকে আসা পর্যটক ব্যবসায়ী রঙ্গলাল চক্রবর্তী বলেন, রাঙামাটিতে আশা নিয়ে বেড়াতে এসেছিলাম, হতাশা নিয়ে ফিরে যাচ্ছি। ঝুলন্ত সেতুটি কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে গেছে। মনটা খারাপ হয়ে গেল। এ পর্যটক আরও বলেন, সারাদিন যেখানে বেড়াতে গেছি সেখানেই লক্ষ্য করলাম, কোনো টয়লেট (শৌচাগার) নেই। পর্যটকদের সেবা দিতে কোনো গাইড পেলাম না। নিজেরা যতটুকু খোঁজ নিয়ে জেনেছি, ততটুকুতে বেড়িয়েছি।

পঞ্চগড় থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক অমর রায় বলেন, দেশের অন্যান্য এলাকায় অনেক পরিবহন সেবা থাকলেও এখানে কোনো উন্নতমানের পরিবহন সেবা নেই। কাপ্তাই হ্রদ এতো বড়। এখানে কোনো নিরাপত্তা দেখলাম না। যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব সেবার মান বাড়াতে না পারে, তাহলে এ জেলায় পর্যটকরা আসা বন্ধ করে দেবে।

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের চেয়ারম্যান খোকেনশ্বর ত্রিপুরা বলেন, আমাদের জেলায় সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো কাপ্তাই হ্রদ। যেটি সিঙ্গপুর থেকেও বড়। এরপরও আমরা অর্থনৈতিক সংকটে পুড়ছি। রাবিপ্রবি’র সহকারী অধ্যাপক আরও বলেন, আমরা সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে ওয়াটার বেসিস অর্থাৎ কাপ্তাই হ্রদ নিয়ে এগোতে পারলে এ এলাকা অনেক সমৃদ্ধ হবে, সমৃদ্ধ হবে দেশের অর্থনীতি।

রাঙামাটি জেলা পরিষদেও সদস্য ও পর্যটন বিভাগের আহ্বায়ক নিউচিং মারমা বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। এ এলাকার উন্নয়ন না হলে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সিঁড়িতে পৌঁছাতে পারব না। তাই সরকার ২০২৪ সালের মধ্যে এ অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বড় আকারের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। আশা করছি, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে আমাদের এ অঞ্চল পর্যটন শিল্পে এগিয়ে যাবে। সূত্র-বাংলানিউজ২৪ডটকম

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট