1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৩৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
আলীকদমে অপার নির্জনতার নাম ‘চেয়ারম্যান লেক’ আলীকদমে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা দিলেন চট্টগ্রাম লায়ন্স ক্লাব গোল্ডেন সিটি ইয়াংছা উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা ‘২৫ অনুষ্ঠিত নাইক্ষ্যংছড়িতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি গঠিত রামুর ডাকাত শাহীনের সহযোগী আবছার অস্ত্রসহ নাইক্ষ্যংছড়ির বিজিবির হাতে আটক   লামায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর’র অভিযান লামায় পাহাড় ধস, লামামুখ – রাজবাড়ী সড়ক যোগাযোগ বন্ধ লামার গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবধর্ণা লামায় প্রান্তিক কৃষক ও বেকার নারীদের উন্নয়নে বিনামুল্যে গাছের চারা, গবাদিপশু, সেলাই মেশিন ও আর্থিক অনুদান মিয়ানমারের বিদ্রোহি আরাকান আর্মির গোলাগুলিতে ছোঁড়া গুলি এসে পড়লো এপারে নাইক্ষ্যংছড়িতে জেলা পরিষদের উদ্দ্যোগে গবাদিপশুর, সেলাই মেশিন ও অর্থ বিতরণ করেন এ্যাড. আবুল কালাম  লামায় জীনামেজু টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট’র কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত লামায় পর্যটন কটেজে এক পর্যটকের আত্মহত্যা লামায় পরিবেশ বিধ্বংসী ৬ লাখ ২৭ হাজার গাছের চারা ধ্বংস কার্যক্রম শুরু

লামায় মেঘের রাজ্য মিরিঞ্জা ভ্যালি

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৪৫৬ বার পড়া হয়েছে

লামা প্রতিনিধি |

পাহাড়, মেঘ আর আকাশের মিতালি। নীলাকাশে সাদা বকের উড়াউড়ি। চোখ জুড়ানো সবুজের সমারোহ। চারদিক থেকে ধেয়ে আসা বিশুদ্ধ হাওয়া। সমতল ভূমি থেকে প্রায় ১ হাজার ৭০০ ফুট উচ্চতায় মেঘের ওপর থেকে দিগন্ত দেখার অনুভূতি।

কল্পনাবিলাসী কোনো লেখকের নিখুঁত বর্ণনা মনে হলেও বাস্তবে আশ্চর্যময় সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি ‘মিরিঞ্জা ভ্যালি’। যেখানে মিশে আছে পাহাড়, মেঘ আর আকাশ! বান্দরবানের লামা উপজেলার লামা-চকরিয়া সড়কের পাশেই অবস্থিত এই মনোহারিণী মিরিঞ্জা ভ্যালি। যেখানে গেলেই দেখতে পাবেন সারি সারি পাহাড় মেঘের সাথে মিতালি করে দাঁড়িয়ে আছে। কখনও কখনও আপনি মেঘের ভেলার ওপরে থাকবেন। মেঘ আপনাকে ছুঁয়ে দেবে। শীতল এই পরশে জুড়িয়ে যাবে হৃদয় ও মন। মেঘ আর কুয়াশার লুকোচুরি খেলার দেখা মিলবে একদম ভোর বা সন্ধ্যায়। বর্ষাকাল হলে সারা দিনই দেখা মিলবে মেঘের আসা-যাওয়া খেলা।

মিরিঞ্জা পাহাড়ে নামার পরই শুরু হয় কোলাহলমুক্ত, দূষিত বাতাসমুক্ত ও যান্ত্রিকতামুক্ত স্নিগ্ধ-সুশোভিত এক নতুন রাজ্য। পাহাড়ের চূড়া ও সবুজের মাঝ দিয়ে দুই পাশের দিগন্ত দেখতে দেখতে কখন যে মিরিঞ্জা ভ্যালিতে পৌঁছে যাবেনÑ বুঝতেই পারবেন না। তবে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে গেলে সন্ধ্যার আগে ফেরাই ভালো।

মিরিঞ্জা ভ্যালির সবচেয়ে সুন্দর সময় সকালের সূর্যোদয় ও বিকালের সূর্যাস্তের দৃশ্য। সকালটা এত সুন্দর, আপনি পৌঁছামাত্র কয়েক মিনিটের জন্য স্তব্ধ হয়ে যাবেন। তবে এখানে প্রবেশে বা সৌন্দর্য অবলোকনে কোনো টাকা খরচ হবে না।

ব্যক্তিমালিকানা জায়গা হওয়ায় এবং পর্যটকদের সরব উপস্থিতির কারণে মিরিঞ্জা ভ্যালির মালিক মো. জিয়াউর রহমান নতুন করে দুটি মাচাং ঘর ও খাবারের দোকান করেছেন। রয়েছে অর্ধশতাধিক তাঁবু ক্যাম্পিংয়ের সুবিধা। প্রতিদিনই দেশের দূর-দূরান্তের ভ্রমণপিপাসু মানুষ খোলা আকাশের নিচে তাঁবু ক্যাম্পিং করে মিরিঞ্জা ভ্যালির সৌন্দর্য ও জোছনামাখা রাতের রূপ দেখতে আসেন।

মিরিঞ্জা ভ্যালির মালিক মো. জিয়াউর রহমান বলেন, এখানে একটি মাচাং ঘরে পরিবার নিয়ে রাতযাপনের সুবিধা রয়েছে। চাইলে ৬-৭ জন বন্ধু মিলেও মাচাং ঘরটিতে থাকতে পারেন। প্রতি রাতের জন্য আপনাকে গুনতে হবে ১ হাজার টাকা। পর্যটকরা চাইলে নিজেরা রান্না করে খেতে পারেন অথবা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রান্না করে খাওয়ানোর ব্যবস্থা আছে। খুবই কম খরচে অনুভব করবেন দার্জিলিং বা নেপাল ভ্রমণের সাধ।

ঢাকার মিরপুর থেকে মিরিঞ্জা ভ্যালিতে ঘুরতে আসেন আরমান মাহমুদ, আনোয়ার মৃধা ও শরিফুল ইসলাম। তারা বলেন, এই জায়গায় দাঁড়িয়ে সূর্য উদয় ও অস্ত দেখতে এত সুন্দর, তা বর্ণনা করার মতো না। আমরা তিন বন্ধু মিলে এখানে তাঁবু ক্যাম্পিং করে থাকতে এসেছি। রাতের জোছনামাখা সৌন্দর্য দেখে সত্যি আমরা বিমোহিত।

লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার বলেন, আমি নিজেও কয়েকবার মিরিঞ্জা ভ্যালিতে গিয়েছি। জায়গাটি সবসময়ই সুন্দর। লামা পর্যটন শিল্পে মিরিঞ্জা ভ্যালি অবদান রাখবে।

যেভাবে যাবেন :

দেশের যেকোনো জায়গা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে চকরিয়া বাস টার্মিনালে নামতে হবে। সেখান থেকে লামা-আলীকদম পথে জিপ, বাস বা সিএনজি করে মিরিঞ্জা ভ্যালিতে যাওয়া যায়। লামা-আলীকদম সড়কে মিরিঞ্জা পাহাড়ের পাশে গাড়ি থেকে নেমে ১০ মিনিট হাঁটলেই মিরিঞ্জা ভ্যালি। চাইলে মোটরসাইকেল নিয়ে স্পটে যেতে পারেন। চকরিয়া থেকে মিরিঞ্জা পাহাড়ের দূরত্ব ২৪ কিলোমিটার। বাস বা জিপের ভাড়া লাগবে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। চাইলে সিএনজি বা প্রাইভেটকার নিয়েও যেতে পারেন। যাওয়ার রাস্তাও খুব সহজ, তেমন একটা কষ্টের পথ না। কারণ সবটা পথ গাড়িতে গিয়ে শুধু ১০ মিনিট হেঁটেই যাওয়া যায়। এখন জায়গাটি খুবই পরিচিত। আর মিরিঞ্জা পাহাড় থেকে লামা শহরের দূরত্ব মাত্র ৬ কিলোমিটার। মিরিঞ্জা ভ্যালিতে দাঁড়িয়ে লামা শহরটি দেখা যায়। একই সঙ্গে দিগন্তজোড়া আলীকদম ও থানচি উপজেলা দেখতে পাবেন ভিউ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে।

খাবার :

সারা দিন থাকতে চাইলে দুপুরের খাবার, পানি, হালকা নাশতা সঙ্গে নেওয়া ভালো। তবে চাইলে ওখানে অর্ডার দিয়েও খেতে পারেন।

সাবধানতা :

মিরিঞ্জা ভ্যালি পাহাড়ের চূড়ায় বিধায় দল বেঁধে চলা ভালো। দুই পাশে খাড়া গভীর গিরিখাদ। অসতর্ক থাকলে পিছলে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট