1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে কেন রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি বান্দরবান ৩০০নং আসনে জাবেদ রেজাকে প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে লামায় বর্ণাঢ্য পদযাত্রা ফের সারা দেশে ভূমিকম্প অনুভূত দু’জন প্রতিবন্ধীর পাশে দাঁড়ালেন সাতকানিয়া–লোহাগাড়ায় মানবিক ফাউন্ডেশন লামায় এপেক্স ক্লাব’র শিক্ষা সামগ্রী সেলাই মেশিন প্রদান আলীকদমে মাতামুহুরি নদী থেকে লাশ উদ্ধার  লামায় এনসিপি’র উদ্যোগে আন্ত উপজেলা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’র উদ্ভোধন বান্দরবান ৩০০ নং আসনের প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে আলীকদমে বর্ণাঢ্য পদযাত্রা লামায় কোমর পানি পেরিয়ে শিক্ষার্থীদের যেতে হয় বিদ্যালয়ে, ব্রীজের দাবী এলাকাবাসীর লামার মিরিন্জা ভ্যালীতে আগুনে পুড়ে গেল জুৃম ঘর লামায় স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক সংষ্কার করলেন টমটম মালিক ও চালকরা সারা দেশে ভূমিকম্প অনুভূত, নিহত ৪ বিএনপি যেসব আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করতে পারে লামায় সড়কে গাড়ি উল্টে চালক নিহত লামায় হাজার হাজার নারী পুরুষের প্রতিরোধের মুখে ইটভাটায় অভিযান চালাতে পারেনি পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানি দল

তবুও জীবন চলছে জীবনের নিয়মে: কাপ্তাই কর্ণফুলি নদীর মাঝি  সাফিয়া খাতুনের জীবন সংগ্রামের গল্প

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৪
  • ১৯৮ বার পড়া হয়েছে

 

ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি) প্রতিনিধি:

সোমবার (২২ জানুয়ারি)  দুপুর দেড়’ টা। রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের সীতাঘাট এলাকা সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীর তীরে বৈঠা হাতে যাত্রী পারাপারের জন্য অপেক্ষা করছেন ষাটোর্ধ সাফিয়া খাতুন। কর্ণফুলী নদীতে যাত্রী পারাপার করেন তিনি। এতে  যা আয় হয় তাতেই কোন রকমে তাঁর সংসার চলে। কোনদিন ১০০ টাকা আবার কোনদিন ২০০ টাকা আবার কোনদিন এক টাকাও ইনকাম হয় না। বলতে গেলে অভাবকে নিত্য সঙ্গী করে যিনি এই বয়সে সংসারের বোঝা বয়ে যাচ্ছেন।

কথা হয় সাফিয়া খাতুনের সাথে। তিনি বলেন, শিলছড়ি সীতাঘাট এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম আমার স্বামী।  বিগত ৩ বছর আগে তিনি  মারা যান। তিনিও নৌকার মাঝি ছিলেন।  ৪ মেয়ে ১ ছেলে আমার। মেয়ে ৩ টা বিয়ে দিয়ে দিয়েছি, ছেলে বিয়ে করে বউ নিয়ে আলাদা হয়ে গেছে। আমি এক মেয়েকে নিয়ে এই বুড়া বয়সে সংসারের বোঝা বয়ে যাচ্ছি।

ক্রন্দনসুরে তিনি বলেন, শুধুমাত্র সীতাঘাট মা সীতা মন্দিরে ধর্মীয় উৎসব হলে তখন যাত্রী পারাপারে বেশী সংখ্যক লোক হয়। তখন গড়ে ৩০০ হতে ৫০০ টাকা ইনকাম হয়। আবার অনেকে ছোট নৌকা করে পারাপার করতে চাই না, তখন বড় বোট দিয়ে বেশি লোকজন পারাপার হয়। এছাড়া উৎসব না থাকলে আমার দিনে ১০০ হতে ২০০ টাকা আয় হয়। আবার মাসে গড়ে  ৬ থেকে ৭ দিন এক টাকাও ইনকাম হয় না। কিস্তি নিয়ে ছোট্ট নৌকাটি তৈরি করেছি। অনেকসময় কিস্তির টাকাও যোগাড় করতে পারিনা। তবে আমি সরকার হতে বিধবা ভাতা পাই। তবুও সবসময় সংসারের অভাব লেগে থাকে।  অসুস্থ শরীর নিয়ে আর পারছি না এই বোঝা টানতে।

কথা হয় সীতাঘাট রাম সীতা মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ জ্যোর্তিময়ানন্দ মহারাজ এর সাথে।
তিনি বলেন, আমি প্রায়ই সাফিয়া খাতুনের নৌকা করে পারাপার করি। যতটুকু পারি তাঁকে সহায়তা করার চেষ্টা করি। তাঁর জীবনটা অনেক কষ্টের।

৫ নং ওয়াগ্গা ইউনিয়ন এর ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: সরোয়ার বলেন, স্বামী নেই এই মহিলার। কোন রকমে  কষ্টে দিনাতিপাত করেন তিনি । ইতিমধ্যে উনার জন্য ভিজিডি কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উনাকে শীতবস্ত্র দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে পরিষদের পক্ষ হতে উনাকে সহায়তা করা হবে।

ছবির ক্যাপশন: বৈঠা হাতে সাফিয়া খাতুন। সোমবার দুপুর দেড়টায় কাপ্তাই সীতাঘাট মন্দির সংলগ্ন কর্ণফুলী নদী হতে তোলা ছবি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট