জিয়াউল হক জিয়া, চকরিয়া |
কক্সবাজারের সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সমুদ্রের পথে অবৈধভাবে পাশ্ববর্তী দেশে ভোগ্যপণ্য পাচারকালে ৩ জনকে আটক করেন র্যাব-১৫। গত শুক্রবার(২৩ ফেব্রুয়ারী) রাত ১১টা ১০মিনিটের দিকে সদর উপজেলার টেকপাড়াস্থ মাঝেরঘাট এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, কবির আহমদ (৫৩) চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সরই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কাহারঘোনা গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে,কক্সবাজারের মহেশখালী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কুতুবজোম মৃত হাসন আলী ছেলে আবু তাহের(৫০) ও টেকনাফ সদরের ৩নং ওয়ার্ডের সুততলী এলাকার মৃত শরীফের ছেলে মোঃ তৈয়ব (২৪)। ২৪ ফ্রেব্রুয়ারী দুপুর ২টার পরে র্যাব-১৫ ক্যাম্প থেকে আটক ভোগ্যপণ্যের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং দেন।ব্রিফিংনে জানান, কক্সবাজারের সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও পাচারকারী বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য, জ্বালানী তৈল ও ডিজেল,অকটেন অবৈধভাবে চোরাচাইপথে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার করছে।ফলে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।যে কারণে দেশে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।এমন সংবাদে র্যাব-১৫ সেদিকে গোয়েন্দা নজরদারি করেন।ফলে গোপন সংবাদে জেনেছেন বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য নিয়ে কক্সবাজার জেলার সদরের ৪নং ওয়ার্ডের টেকপাড়াস্থ মাঝেরঘাট এলাকার খুরুশকুল ব্রীজের দক্ষিণ পাশে অবস্থান করছেন।এমতাবস্থায় কৌশলে মালামাল সহ ৩জন পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়।পরে জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত পাচারকারীরা তাদের নাম-ঠিকানা সহ পার্শ্ববর্তী দেশে পাচারের উদ্দেশ্যে উক্ত স্থানে ভোজ্য তেল সয়াবিন, আটা, রসুন ও চিনি মজুদ করছে বলে স্বীকার করেন। উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে গ্রেফতারকৃত পাচারকারীদের হেফাজত হতে সর্বমোট ৫৩টি বস্তায় ২,১২০ লিটার ভোজ্য সয়াবিন তেল, ১৭টি বস্তায় ৮৫০ কেজি আটা (প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে), ১৫টি বস্তায় ৭৫০ কেজি চিনি (প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে) এবং ১২টি বস্তায় ৪৮০ কেজি রসুন (প্রতি বস্তায় ৪০ কেজি করে) উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ টাকা) উদ্ধার করেন। গ্রেফতারকৃতরা পরস্পর-পরস্পরের সহযোগীতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানী ও ডিলারদের কাছ থেকে পাইকারি দামে ভোগ্যপণ্য ক্রয় করে মজুদের পর পাচার করতেন। উল্লেখ্য-জানুয়ারি হতে এ পর্যন্ত অবৈধভাবে র্যাব-১৫ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে সর্বমোট ১৬ জন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের হেফাজত হতে সর্বমোট ৭,০৮৫ লিটার অকটেন, ৪,৪৭০ লিটার ভোজ্য তেল সয়াবিন, বিভিন্ন প্রকারের ১,৩৬,৫৫০ পিস ঔষধ, ৫০০ কেজি ময়দা, ৪০ কেজি পেঁয়াজ, ৩১ কেজি রসুন, ৩৬ কেজি আদা উদ্ধার এবং পরিবহন কাজে ব্যবহৃত ০২টি পিকআপ, ০১টি ড্রাম্পার গাড়ি ও ০১টি মোটর সাইকেল, নগদ ১৮,১০০ টাকা জব্দ ও উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। আটককৃত পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।