1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ১০:৪১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
বান্দরবানের রুমায় পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের প্রতিবাদে মানববন্ধন নাইক্ষ্যংছড়িতে তথ্য অফিসের নারী সমাবেশ ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী লামায়: ‘নতুন কুঁড়ি-২০২৫’ প্রচারণা বিষয়ক অবহিতকরণ লামায় সহকারি শিক্ষক সমিতির আহবায়ক সুলতান, সদস্য সচিব আজগর লামায় বিএডিসি’র অনিয়মিত শ্রমিকদের কর্মবিরতি লামায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ’র উদ্বোধন ঘুমধুম সীমান্তে আরাকান আর্মির সদস্য সন্দেহে দুই উপজাতি নাগরিক আটক! ঘুমধুমে রোহিঙ্গা যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার লোহাগাড়ায় ৭৫ লিটার চোলাই মদসহ আটক ২ নাইক্ষ্যংছড়িতে আটক ছাত্রের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন বাংলাদেশ পুলিশ মেধা বৃত্তি পেল বান্দরবানের নওরীন জাহান রাইসা বান্দরবানে বাংলাদেশ পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগ উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক ব্রিফিং কক্সবাজারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহ ৬ জন গ্রেফতার আজিজনগর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান জসিম ও তার ছেলে নিহাল চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার নাইক্ষ্যংছড়িতে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ পুলিশের জালে আটক- ১

আমের মুকুলের গন্ধে সুবাসিত বান্দরবানের পাহাড়ি অঞ্চল, পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
  • ১৯০ বার পড়া হয়েছে
বান্দরবান প্রতিনিধি |

আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে মৌ মৌ করতে শুরু করেছে পাহাড়ের চারিদিক। এরই মধ্যে আমের মুকুলের মিষ্টি গন্ধে সুবাসিত হয়ে উঠছে প্রকৃতি। এসময়টাতে আমের মুকুলের যত্ন না নিলে আমের ভালো ফলন সম্ভব নয়। তাই এখন আগাছা পরিষ্কার ও মুকুল ঝরা রোধে কীটনাশক স্প্রেসহ নানাভাবে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। এদিকে প্রতিটি গাছে মুকুল আসায় আম চাষিদের মাঝেও ভিন্ন আমেজ লক্ষ্য করা গেছে।

জানা যায়, একসময় জুম চাষই ছিল পাহাড়ে মানুষের জীবিকার একমাত্র প্রধান উৎস। কিন্তু এখন জুম চাষের পাশাপাশি অনেকে গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন ফলজ বাগান। এরমধ্যে অন্যতম আম বাগান। পাহাড়ে বিভিন্ন ফলজ বাগান গড়ে তুলতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোও কাজ করছে। সার, বীজ, চারা বিতরণের পাশাপাশি বাগান পরিচর্যায় বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন চাষিদের। ফলে অনেকে বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন ফলজ বাগান করছেন এবং অনেক বাগান চাষি হয়েছেন স্বাবলম্বীও।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলা সদরের লাইমি পাড়া, ফারুক পাড়া, গেৎশিমনী পাড়াসহ চিম্বুক সড়কের বিভিন্ন এলাকার বাগানগুলোতে শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল। কোন কোন গাছে ধরেছে গুটিও। আমের মুকুল ও গুটি ঝরা রোধে কেউ কীটনাশক স্প্রে করছেন, আবার কেউ গাছের নিচে আগুন জ্বালিয়ে ধোঁয়া দিচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর দাম ও ফলন ভালো পাওয়ার আশায় বুক বাঁধছেন আম চাষিরা।

গেৎশিমনি পাড়ার জুয়েল বম নামে এক আম চাষি জানান, ২৫ একরজুড়ে গড়ে তুলেছেন আমসহ নানা ফলজ বাগান। এরমধ্যে ৭০ শতাংশই আম বাগান। অন্যান্য বছর জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে আমের মুকুল আসলেও এবার চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে মুকুল আসায় আমরা খুব খুশি। মুকুল ও গুটি বাঁচাতে পারলে ফলন ভালো হওয়ার পাশাপাশি দামও বেশ ভালো পাওয়ার আশা করছেন তিনি।
রুমা উপজেলার আমচাষিরা বলেন, মুকুল আসার পর থেকেই গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন তারা। মুকুল রোগ বালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বালাইনাশক স্প্রে করছেন।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, বান্দরবানে এ বছর ৯ হাজার ৮০৯ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজার মেট্রিকটন।
জানা যায়, বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে মে-জুন মাসে চারা রোপণ করা হয়। চারা রোপণের ৪ বছরের মধ্যে ফলন দেয়া শুরু করে এ রাংগোওয়ে জাতের আম। ছোট-বড় গাছ ভেদে প্রতি আম গাছে প্রতি মৌসুমে ১ মন থেকে ১০ মন পর্যন্ত ফলন দেয়। কম আঁশযুক্ত আর সুস্বাদু হওয়ায় এই আমের চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে।

বান্দরবান কৃষিসম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক এম.এম. শাহ্ নেওয়াজ বলেন, এবার বৃষ্টিপাত ভালো হওয়ায় পাহাড়ে ৮০ শতাংশ আম গাছে মুকুল এসেছে। চাষিরা কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী পরিচর্যা করতে পারলে চলতি মৌসুমে জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আম উৎপাদন সম্ভব হবে। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সারা দেশে সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট