1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
মিয়ানমারে পাচারকালে ইউরিয়া সারসহ আটক ১০ পাচারকারী থানচির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করলেন বিজিবি খাগড়াছড়িতে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে গ্রেফতার ২ বান্দরবানে শতাধিক শিক্ষার্থীরা পেলেন এপেক্স ক্লাব’র শিক্ষা উপকরণ লামায় ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ’র নতুন সভাপতি মহেন্দ্র, সম্পাদক প্রণয় ও সাংগঠনিক দুর্জয় ত্রিপুরা আলীকদমে পারিবারিক কলহে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি ৩ জন লামায় বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে আরো ৫ জেলে পেলেন ২০টি উন্নত জাতের ছাগল লামায় এপেক্স ক্লাবের শিক্ষা সামগ্রী পেল শিক্ষার্থীরা লামায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালন আলীকদমে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে দুই জনকে জরিমানা বান্দরবানে ২১ কিলোমিটার হিল ম্যারাথন অনুষ্ঠিত লোহাগাড়া প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও সাউন্ড হেলথ হাসপাতালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি বান্দরবানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খাদ্যশষ্য প্রদান করলেন আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কেএস মং রাঙ্গামাটিতে তরুণী ধর্ষণ মামলায় এক যুবক আটক খাগড়াছড়িতে অপহরণের ৭ দিন পর চবি’র ৫ শিক্ষার্থী মুক্ত

আলীকদমে সরকারের পানি শোধনাগার প্রকল্পের সাড়ে ১১ কোটি টাকা জলে যাবে !

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪
  • ১১০ বার পড়া হয়েছে

এ যেনো এক লাগামহীন ঘোড়ার গল্প, সময়ের পর সময় শেষ হলেও কাজের কোনো সমাপ্তি নেই। লাগামহীন ঘোড়ার এই গল্পটি বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার পানি শোধনাগার প্রকল্পের। সংশ্লিষ্টরা প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে দাবি করে পানির সংযোগ নেওয়ার জন্য গ্রাহকদের আহবান জানালেও এখন পানির সংযোগ নিতে তেমন সাড়া মিলছেনা গ্রাহকদের। ফলে সরকারের সাড়ে ১১ কোটি টাকা জলে যাবে বলে মনে করছে অনেকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আলীকদম উপজেলা পরিষদের পাশে ছাবের মিয়া পাড়ায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর স্থানীয়দের বিশুদ্ধ পানির চাহিদা মেটাতে ২০১১ সালের ১১ জুন প্রকল্পটির কাজ শুরু করে, দীর্ঘ ১৪ বছর অতিক্রম হলেও পানি শোধানাগার নির্মানের কাজ শেষ হয়নি। গত বছর এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হলেও পানি দেখেনি স্থানীয়রা। উদ্বোধনের দিন কয়েক ঘণ্টা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পানি দেওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায় পানি সরবরাহ।

আরো জানা যায়, শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ২০১১ সালের ১১ জুন শুরু হলে তখন ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে দুটি জলাধার নির্মাণের পর প্রকল্পের কাজ পরিত্যক্ত হয়ে যায়। পরিত্যক্ত শোধনাগারটি পুনরায় নির্মাণের জন্য ২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পরিকল্পনা কমিশন থেকে ৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নির্মাণকাজ ২০২২ সালের জুনে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু গত বছরের ১২ এপ্রিল উদ্বোধনের দিনই পানি সরবরাহ দেওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায়। প্রকল্পের শুরু থেকে দুই দফায় এ পর্যন্ত সাড়ে ১১ কোটি টাকা ব্যয় হলেও পানি পায়নি আলীকদমবাসী।

সাবের মিয়াপাড়ায় পাড়ার বাসিন্দা নুরুল হক জানান, শুষ্ক মৌসুমে তীব্র পানি সংকটের দেখা যায়। বিগত বছরগুলোতে এক কলসি পানির জন্য নলকূপের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরতে হয়। তারপরও পানি সংকট নিরসনে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেই।

আরো জানা গেছে, গত ৩ মাস আগে পানির সংযোগ লাইন প্রদানের জন্য মাইকিং করা হয়েছিলো। কিন্তু প্রতি লাইনের জন্য ফি নির্ধারণ হয় ১০ হাজার টাকা। নিয়মিত পানি সরবরাহ নিশ্চিত হবে কিনা এমন সংশয় থাকায় পানি শোধানাগার থেকে পানি সংগ্রহে স্থানীয়দের আগ্রহ কম, ফলে আবেদন করেনি কেউ। পরে দ্বিতীয় দফায় পাঁচ হাজার, তৃতীয় দফায় দুই হাজার সংযোগ ফি নির্ধারণ করা হলে সংযোগের জন্য আবেদন জমা দেয় ৫০ জন গ্রাহক। তবে এসব গ্রাহককে এখনও পানি সরবরাহ করতে পারেনি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

উপজেলা সদরের ৪ নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা মংহ্লা প্রু তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, পানির কষ্ট আমাদের চিরকালেই যেন থেকে যাবে, ১৪ বছরেও পানি সংকট নিরসন হয়নি, সামনে শোধনাগার থেকে নিয়মিত পানি পাবো এর নিশ্চয়তা কি।

গত বছরের ১২ এপ্রিল সদ্য সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং পানি শোধনাগার প্রকল্পটি উদ্বোধন করেছিলেন। উদ্বোধনী ফলকটি উন্মুক্ত থাকলেও পানি সরবরাহ উদ্বোধনের দিন বিকেলেই বন্ধ হয়ে যায়। সেদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কয়েক ঘণ্টার জন্য পানি সরবরাহ করা হয়েছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকেরা বলেন, হাসপাতালে বছরের পর বছর ধরে পানির সংকট চলছে। উদ্বোধন শেষে কয়েক ঘণ্টা পানি সরবরাহ দেওয়ার পর পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সবাই হতাশ।

জনস্বাস্থ্যের আলীকদম উপজেলার প্রকৌশলী মোহাম্মদ হালিম বলেন, পানি শোধনাগারের কাজটি শেষ হয়েছে, পানির সংযোগ নিতে স্থানীয়দের আগ্রহ কম।

এই বিষয়ে নিয়ে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতাউল গনি ওসমানী বলেন, কাজটি প্রায় সমাপ্ত হয়েছে। আগে মাইকিং করা হয়েছিলো কিন্তু গ্রাহক না থাকায় পানি দেওয়া হয়নি। পানির লাইনের খরচও কমানো হয়েছে। সূত্র-পাহাড় বার্তা ডটকম

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট