1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ০৬:১৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা ‘২৫ অনুষ্ঠিত নাইক্ষ্যংছড়িতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি গঠিত রামুর ডাকাত শাহীনের সহযোগী আবছার অস্ত্রসহ নাইক্ষ্যংছড়ির বিজিবির হাতে আটক   লামায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর’র অভিযান লামায় পাহাড় ধস, লামামুখ – রাজবাড়ী সড়ক যোগাযোগ বন্ধ লামার গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবধর্ণা লামায় প্রান্তিক কৃষক ও বেকার নারীদের উন্নয়নে বিনামুল্যে গাছের চারা, গবাদিপশু, সেলাই মেশিন ও আর্থিক অনুদান মিয়ানমারের বিদ্রোহি আরাকান আর্মির গোলাগুলিতে ছোঁড়া গুলি এসে পড়লো এপারে নাইক্ষ্যংছড়িতে জেলা পরিষদের উদ্দ্যোগে গবাদিপশুর, সেলাই মেশিন ও অর্থ বিতরণ করেন এ্যাড. আবুল কালাম  লামায় জীনামেজু টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট’র কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত লামায় পর্যটন কটেজে এক পর্যটকের আত্মহত্যা লামায় পরিবেশ বিধ্বংসী ৬ লাখ ২৭ হাজার গাছের চারা ধ্বংস কার্যক্রম শুরু আলীকদমে নিজ দোকান থেকে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার আলীকদমে এক বন্ধুর গুলিতে আরেক বন্ধু নিহত, জিজ্ঞাবাদের জন্য আটক ৪ বন্ধু লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নে বাঁশের ভেলায় চড়ে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট : ২৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবন উদ্ভোধন ২৮ অক্টোবর

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১৭৮৫ বার পড়া হয়েছে
জে. জাহেদ, চট্টগ্রাম থেকে….

আগামী ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর সাংস্কৃতিক, প্রাণকেন্দ্র খ্যাত নবনির্মিত প্রকল্প মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স আনুষ্ঠানিক ভাবে শুভ উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে দৃশ্যমান হলো সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র ‘চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সটি’। এই বৃহৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও গবেষকদের বই এবং তথ্যের চাহিদা যেমন পূরণ হবে, তেমনি নগরে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নতুন গতি আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, আগামী ২৮ অক্টোবর দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ উদ্বোধন করতে চট্টগ্রামে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রাম সফর উপলক্ষ্যে এদিন টানেল উদ্বোধনের পাশাপাশি চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রকল্পও উদ্বোধন করবেন সরকার প্রধান। যার মধ্যে চট্টগ্রামের বৃহৎ সাংস্কৃতিক প্রকল্প চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সটিও উদ্বোধন করবেন তিনি। ইতোমধ্যে এ নিয়ে প্রস্তুতিও গ্রহণ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
এমন তথ্য নিশ্চিত করে গণপূর্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রাম-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ বলেন, ‘আগামী ২৮ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে সকল প্রস্তুতিও গ্রহণ করা হয়েছে। সাজসজ্জার কাজও চলছে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের নভেম্বরে একনেকে পাস হয় চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স বা সাংস্কৃতিক বলয় প্রকল্প। ২৩২ কোটি ৫২ লাখ টাকার এ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ার পাশাপাশি বৃদ্ধি পায় বরাদ্দও। বরাদ্দের পরিমাণ বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ২৮১ কোটি ৩৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকায়। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ব্যয় হয়েছে ২০৭ কোটি ৭১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
প্রকল্পটির মধ্যে পুরনো মুসলিম ইনস্টিটিউট ভেঙে ফেলে মাস্টার প্ল্যানের আওতায় ১৫ তলা বিশিষ্ট একটি গ্রন্থগার, ৮ তলা বিশিষ্ট মিলনায়তন ভবন ও একটি মাল্টিপারপাস হল নির্মাণ করা হয়েছে।

এছাড়া রাস্তার এপার-ওপারকে সংযুক্ত করার জন্য করা হয়েছে টানেল আকৃতির পাবলিক প্লাজা, ওপেন এয়ার থিয়েটার, মিউজিয়াম। পাবলিক প্লাজার ওপর অংশেই নির্মাণ করা হয়েছে নতুন শহীদ মিনার। যা চট্টগ্রামের দৃষ্টিনন্দন স্থান হয়ে ওঠেছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পটির ৮৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।এদিকে, পুনর্নির্মাণের জন্য ২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু হওয়া চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু পুরনো শহীদ মিনার ভেঙে নতুন করে নির্মাণের কাজও ইতোপূর্বে শেষ হয়েছে। চলতি বছরের গত ২১ ফেব্রুয়ারি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বাস্তবায়নকারী সংস্থার পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
তবে ওই সময়ে পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়ায় আগামী ১৬ ডিসেম্বর নতুন এ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শতভাগ প্রস্তুতির কথা বলেন সংশ্লিষ্টরা। ইতোমধ্যে শহীদ মিনারের কাজও পুরোপুরি শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। আগামী ডিসেম্বরে বিজয় দিবসে শ্রদ্ধাও নিবেদন করা সম্ভব হবে নতুনরূপে সজ্জিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

কাজের অগ্রগতি নিয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রাম-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ বলেন, ‘সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সের শহীদ মিনার ও টানেলের অংশের কাজ শেষ। সেটি এখন দৃশ্যমান। পাশাপাশি মুসলিম ইনস্টিটিউটের প্রধান লাইব্রেরি ভবন থেকে শুরু মূল ভবনের কাজও শেষ। ইতোমধ্যে লাইব্রেরির কার্যক্রম চালু হয়েছে। সবমিলিয়ে প্রকল্পের ৮৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র কিছু কাজ বাকি। তারমধ্যে এসি, রঙ, একেস্টিকে কাজ রয়েছে। এসব বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। যার জন্য একটু সময় লাগছে। যেকোন মুহূর্তেই তার কাজও শেষ হবে। তবে নতুনরূপে সজ্জিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করা হয়েছে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট