1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০২:২৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
লামায় কার্প জাতীয় মাছের পোনা পেলেন ১০০ চাষি হাতিয়ায় পিডিবি’র দুই কর্মীকে চোর সন্দেহে মারধর, ১ জনের মৃত্যু চকরিয়া থানা হাজতে অফিস সহকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় এলাকাবাসীর বিক্ষোভ ও মানববন্ধন লামা মুখ ফুটবল টুর্নামেন্ট’র শুভ উদ্বোধন লামায় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে কুইজ প্রতিযোগিতা আলী মিয়ার ১৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী ২২ আগস্ট বান্দরবানের রুমায় পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের প্রতিবাদে মানববন্ধন নাইক্ষ্যংছড়িতে তথ্য অফিসের নারী সমাবেশ ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী লামায়: ‘নতুন কুঁড়ি-২০২৫’ প্রচারণা বিষয়ক অবহিতকরণ লামায় সহকারি শিক্ষক সমিতির আহবায়ক সুলতান, সদস্য সচিব আজগর লামায় বিএডিসি’র অনিয়মিত শ্রমিকদের কর্মবিরতি লামায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ’র উদ্বোধন ঘুমধুম সীমান্তে আরাকান আর্মির সদস্য সন্দেহে দুই উপজাতি নাগরিক আটক! ঘুমধুমে রোহিঙ্গা যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার লোহাগাড়ায় ৭৫ লিটার চোলাই মদসহ আটক ২

লামায় ৩০ বছর বয়সী ২৮টি সেগুন গাছ কেটে, আগুন লাগিয়ে জায়গা বেদখলের চেষ্টার অভিযোগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৬৩ বার পড়া হয়েছে

| নিজস্ব প্রতিবেদক |
দিন দিন বেড়েই চলেছে জায়গা জমি বিরোধ। এ ধারাবাহিকতায় বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি এক পরিবারের সৃজিত বাগানের ৩০ বছর বয়সী ২৮টি সেগুন গাছ কেটে জায়গা জবর দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার লামা সদর ইউনিয়নের দু:খ পাহাড়ে ঘটনাটি ঘটে। এতে বাগান মালিকের প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উছাইনুং মার্মা বাদী হয়ে পৌরসভা এলাকার চাম্পাতলী পাড়ার বাসিন্দা প্রতিপক্ষ মো. জাফরের ছেলে মো. মন্নানের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় লামা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদেরকে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী উছাইনুং মার্মা।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার ২৯৩নং ছাগল খাইয়া মৌজায় উছাইনুং মার্মার স্বামী আপ্রুসে মার্মার ৫ একর তৃতীয় শ্রেণীর জায়গা আছে। বহু কায়িক শ্রম ও অর্থ ব্যয়ে সেগুন বাগান সৃজন করে দীর্ঘ বছর ধরে জায়গা ভোগ করে আসছেন। সম্প্রতি এ জায়গার উপর পাশের মো. মন্নানদের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। তারা এ জায়গা জবর দখলে নিতে বিভিন্ন পায়তারা শুরু করেন। একপর্যায়ে গত ২ ডিসেম্বর পূর্বপরিকল্পিতভাবে মন্নানরা বাগানের ২৮টি সেগুন গাছ কেটে ফেলে। পরবর্তীতে তারা কেটে ফেলা গাছ থেকে অর্ধেক গাছ শ্রমিক লাগিয়ে সরিয়ে নেন। খবর পেয়ে বাগান মালিক উছাইনুং মার্মা জবরদখলকারী মন্নানদের গাছ কাটায় বাধা প্রদান করেন এবং প্রতিকার চেয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৯৩নং ছাগল খাইয়া মৌজা হেডম্যানকে দায়িত্ব দেন। এতে ক্ষিপ্ত হন মন্নানরা। তারা মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) কেটে ফেলা ১৪টির মত গাছ আগুনে পুড়ে দেন। উছাইনুং মার্মা জানায়, মন্নানরা আমাদের সৃজিত ২৮টি গাছ কেটে ও পুড়ে ৪ লাখ টাকার ক্ষতি করেছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত মো. মন্নান জানান, আমরা আমাদের বাবার নামীয় ও ভোগদখলীয় জাযগায় কাজ করছিলাম। আমার বাবা বহু কষ্টে বাগানটি সৃজন করেন। এরপরও অভিযোগ করার কারণে আমরা কাজ বন্ধ রাখি এবং উছাইনুং মার্মার জাযগার পাশে যাইনি। বরং উছাইনুং মার্মারা আমাদের জায়গার কিছু অংশ পিলার স্থাপনের মাধ্যমে দখলে নিয়েছেন। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে আমরাও অভিযোগ করবো।
২৯৩নং ছাগল খাইয়া মৌজা হেডম্যান মংক্যচিং মার্মা বলেন, মন্নানরা গাছ কেটে আগুন লাগানোর ঘটনা শুনেছি। উছিংনুং মার্মার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত চলছিল। এছাড়া বিষয়টি সমাধা না হওয়া পর্যন্ত দুই পক্ষকে বিরোধীয় জায়গায় না যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। এদিকে এ ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান, লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. রিদুয়ান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট