1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
আলীকদমে পারিবারিক কলহে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি ৩ জন লামায় বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে আরো ৫ জেলে পেলেন ২০টি উন্নত জাতের ছাগল লামায় এপেক্স ক্লাবের শিক্ষা সামগ্রী পেল শিক্ষার্থীরা লামায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালন আলীকদমে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে দুই জনকে জরিমানা বান্দরবানে ২১ কিলোমিটার হিল ম্যারাথন অনুষ্ঠিত লোহাগাড়া প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও সাউন্ড হেলথ হাসপাতালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি বান্দরবানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খাদ্যশষ্য প্রদান করলেন আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কেএস মং রাঙ্গামাটিতে তরুণী ধর্ষণ মামলায় এক যুবক আটক খাগড়াছড়িতে অপহরণের ৭ দিন পর চবি’র ৫ শিক্ষার্থী মুক্ত বিদ্যুৎ চলে গেলেই ঘুটঘুটে অন্ধকারে লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রোগীদের দুর্ভোগ লামায় নিবন্ধিত জেলেরা পেলেন বিনামূল্যে উন্নত জাতের ছাগল লামায় ‘কার্প জাতীয় মাছের মিশ্র চাষ’ বিষয়ক রিফ্রেসার্স প্রশিক্ষণ সম্পন্ন লামায় “ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক” প্রশিক্ষণ চকরিয়া ভূয়া নৌবাহিনী সদস্য পরচিয়ে প্রতারণায় এক দম্পতি গ্রপ্তোর

স্বাস্থ্য সেবা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় রোগী, ডাক্তার এবং ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৪ জুন, ২০২৩
  • ৪১৭ বার পড়া হয়েছে
আমার সংক্ষিপ্ত পেশাগত জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে একান্ত নিজের ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ থেকে আমি যা উপলব্দি করেছি তারমধ্যে স্বাস্থ্য সেবা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কিছু বিষয় আমি আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের কল্যাণার্থে উপস্থাপন করতে চাই। আমি আমার কর্মজীবনে লক্ষ করেছি, আমাদের দেশের অধিকাংশ রোগী ডাক্তারের প্রেসক্রাইব করা ঔষধের সঠিক ব্যবহার ও প্রয়োগবিধি না জানার কারণে একদিকে যেমন পুরোপুরি সুস্থ হয়না অন্যদিকে ঔষধ গ্রহণ/প্রয়োগের সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ না করার ফলে অন্য কোনো জঠিল রোগে আক্রান্ত হয়ে অকালেই জীবনাবসান হয়! কিন্তু এই জঠিলতা থেকে পরিত্রাণের জন্য সহজ কিছু বিষয় অনুসরণ করলে কঠিন রোগ-বালাই থেকে যেমন মুক্তি লাভ করা যাবে তেমনি রোগীর চিকিৎসা ব্যয় এবং কষ্ট অনেকাংশে কমে যাবে। তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসার পুরোপুরি সুফল পেতে হলে রোগী-ডাক্তার-ফার্মাসিস্টদের মধ্যে সচেতনতা, সতর্কতা, আন্তরিকতা এবং সমন্বয় প্রয়োজন। এই ক্ষেত্রে রোগী, ডাক্তার, ফার্মাসিস্ট এই তিনজনের ভুমিকাই মুখ্য। সুতরাং আমার পর্যবেক্ষণে প্রতিটা রোগীর সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষে যা করণীয় তাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। #
প্রত্যোক রোগী প্রতিবার ডাক্তারের কাছে পরামর্শের জন্য গেলে বর্তমানে যেসমস্ত উপসর্গ ও লক্ষণগুলো আছে তা যথাযথভাবে উক্ত ডাক্তারের কাছে উপস্থাপন করার পাশাপাশি পূর্বের কোনো ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন/ব্যবস্থাপত্র থাকলে সেটা তাকে দেখাবেন। এতে করে উক্ত রোগী বর্তমানে কী কী ঔষধ সেবন করছেন, কেনো সেবন করছেন, কতদিন ধরে সেবন করছেন সে সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার সম্যক ধারণা পাবেন এবং তার পক্ষে পরবর্তী প্রেসক্রিপশন লিখতে সহায়ক হবে। এতে ডাক্তারের জন্য উক্ত রোগীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে ও সঠিক ঔষধ নির্ণয় করতে সুবিধা হবে এবং রোগীর-ও ফায়দা হবে।
ডাক্তার স্পষ্টাক্ষরে ব্যবস্থাপত্র/প্রেসক্রিপশন লিখবেন যাতে রোগী, ফার্মাসিস্টসহ সকলেই সহজে পড়তে পারেন। #ব্যবস্থাপত্রে কোনো পরীক্ষা নিরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিলে সেটা কখন, কোথায়, কিভাবে করাবেন তা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক অথবা তার সহকারির কাছ থেকে ভালোভাবে বুঝে নেয়া। #ফার্মাসিস্টের দায়িত্ব হলো প্রেসক্রিপশনে উল্লেখিত ঔষধগুলো সরবরাহ করা এবং ডাক্তারের নির্দেশিত নিয়ম মোতাবেক কোন ঔষধ, কখন, কিভাবে সেবন করবে তার সঠিক সময়, নিয়ম ও ব্যবহারবিধি রোগীকে বুঝিয়ে দেয়া। #রোগীর যদি কোনো ঔষধ সংক্রান্ত আরো কোন বিষয় জানার আগ্রহ থাকে তাহলে প্রেসক্রিপশন এবং ঔষধসহ সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। #যদি ঔষধ সেবন/ব্যবহারের পর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া/সাইড-ইফেক্ট দেখা দেয় তাহলে উক্ত ঔষধ সেবন/ব্যবহার বন্ধ রেখে যতদ্রুত সম্ভব সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সাথে পরামর্শক্রমে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে। যে বিষয়গুলো ফার্মাসিস্ট এর কাছ থেকে জেনে নিতে হবে: #কোন ক্যাপসুল খালি পেটে খাবেন, কোন ট্যাবলেট ভরা পেটে খাবেন, কোন কোন ঔষধ একত্রে খাওয়া যাবে, কোন কোন দাওয়াই একত্রে সেবন করা যাবেনা, কোন ঔষধ সেবনের মধ্যবর্তী সময় কতক্ষণ বিরতি দিতে হবে ইত্যাদি ফার্মাসিস্টের কাছ থেকে নিজ দায়িত্বে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে যাতে ড্রাগ ইন্টারেকশন হওয়া থেকে সতর্ক থাকা যায়। #পাউডার ফর সাসপেনশনের সিল খুলে মিক্স করার পর সর্বোচ্চ কতদিন ঐ ঔষধ সেবন করা যায়? #সিরাপের বোতলের সিল খোলার পর সর্বোচ্চ কতদিন ঐ ঔষধ সেবন করা যায়? #চোখের/কানের/নাকের ড্রপ সিল খোলার পর সর্বোচ্চ কতদিন ঐ ঔষধ ব্যবহার করা যায়? #ক্রিম/মলম জাতীয় ঔষধ সিল খোলার পর সর্বোচ্চ কতদিন ঐ ঔষধ ব্যবহার করা যায়? #একসাথে একাধিক চোখের/নাকের/কানের ড্রপ ব্যবহারের নিয়ম, বিশেষ করে একটি ব্যবহারের পর কতক্ষণ সময় বিরতি দিয়ে আরেকটি ব্যবহার করা যাবে তা জেনে নেয়া। #ত্বকের একাধিক মলম/ক্রিম প্রেসক্রাইব করা হলে তার মিশ্রণ পদ্ধতি অথবা আলাদা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কতক্ষণ সময় বিরতি দেয়া প্রয়োজন তা জেনে নেয়া। #সাপোজিটরি কিভাবে সংরক্ষণ করতে হয় এবং কতক্ষণ পরপর ব্যবহার করা যায় জেনে নেয়া। #ইনহেলার জাতীয় ঔষধ কিভাবে সংরক্ষণ করতে হয়, কিভাবে, কতক্ষণ পরপর ব্যবহার করতে হয় জেনে নেয়া। #ইনসুলিনসহ যেসব ঔষধ ফ্রিজিং করার প্রয়োজন তা সংরক্ষণের সঠিক নিয়ম এবং প্রয়োগ বিধি সঠিকভাবে জেনে নেয়া। #কোনো ঔষধ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরেও সেবন/ব্যবহার করা যায় কিনা? অথবা ভুলে কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ সেবন/ব্যবহার করে ফেললে করনীয় কী তা জেনে নেয়া। আমার মনে হয়, রোগী-ডাক্তার-ফার্মাসিস্টগণ যদি উপরোক্ত বিষয়গুলো সদয় বিবেচনায় রেখে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করেন তাহলে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন সাধিত হবে ইন্শা-আল্লাহ।
———মুহাম্মদ আবু জাহাঙ্গীর পাভেল
(অক্সফোর্ড ইউভার্সিটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি ক্লিনিক্যাল গবেষণা প্রকল্পের “কোর্ডিনেটর” হিসেবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রিসার্চ সেল, মেডিসিন বিভাগে কর্মরত)

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট