কক্সবাজার প্রতিনিধি |
কক্সবাজারে আবাসিক ‘হোটেল বিলকিস’ দখলে নিতে কথিত অপহরণের নাটক সাজিয়ে হোটেল মালিক ও ব্যবসায়ীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন হোটেল মালিক শামীম আক্তার। তিনি হোটেল বিলকিসের মালিক মৃত হাজী ছদর আহমদ এর কন্যা। শনিবার (০৮ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, হোটেল বিলকিস এর প্রকৃত মালিক আমার বাবা চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউপির মাতারবাড়ী পাড়া এলাকার মৃত হাজী ছদর আহমদ। তার মৃত্যুতে আমার দুই ভাই ও আট বোন হোটেলটির মালিক হই। বর্তমানে হোটেলটির মার্কেটের অংশের মালিকানা নিয়ে দখলে আছেন দুই ভাই মৃত ছালেহ আহমদ সিকদারের ওয়ারিশ এবং মো: আলী। আর আবাসিক হোটেলের অংশের মালিকানা নিয়ে গত ১২/১৩ বছর ধরে ভোগ দখলে আছি আমরা ৮ বোন। আমাদের পক্ষে হোটেল দেখভাল করেন ওয়ারিশগণ। সম্প্রতি আবাসিক হোটেলটিও দখলে নিতে আমাদের ছেলেদের উপর দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে দুই ভাইয়ের ছেলে ও একভাই মো: আলী।
সর্বশেষ গত ৫ এপ্রিল মৃত ছালেহ আহমদ সিকদারের ছেলে হোসেন মোঃ কাইফু (৩২) তার ভাই সাদ্দাম হোসেন (২২) এবং হোসেন মো: ফয়সাল (২৫), মৃত হাজী ছদর আহমদর ছেলে মোহাম্মদ আলী (৫৫) এবং তার ছেলে নুর মোহাম্মদ তানভীর (২৩) এর নেতৃত্বে ১৫/২০ জন দুর্বৃত্ত অতর্কিত হামলা চালিয়ে হোটেলের সিকিউরিটি গার্ডকে মারধর করে এবং মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এ সময় নগদ প্রায় সাড়ে তিনলাখ টাকা লুট, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রাদি ও সিসিটিভি ভাংচুর করে পালিয়ে যায়। আমরা এ ঘটনার পর থেকে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।
দুর্বৃত্তের হামলায় আহত মঈন উদ্দিন (তিনিও ওয়ারিশ) বলেন, ১৫/১৬ জনের একদল দুর্বৃত্ত অতর্কিত হামলা চালায়। আমি জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চাইলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় আমি ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করি। মামলা নং১১/১৮৪। তাদের বিরুদ্ধে আর-ও একটি মামলা (জি.আর ৩৯/১৩ইং) বিচারাধীন। মৃত ছালেহ আহমদ সিকদারের শালা খোকনকে কথিত অপহরণের নাটক সাজিয়ে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করতে উঠে পড়ে লেগেছে।
তিনি বলেন, খোকনের বিরুদ্ধে হোটেল আল ছিদ্দিক রেস্তোঁরার মালিক আবু তাহেরের প্রায় ৩৯ হাজার সৌদি রিয়াল আত্মসাৎ’র অভিযোগ আছে। গত শুক্রবার রাতে বিলকিস মার্কেটের সামনে তাকে দেখতে পেয়ে আবু তাহের ও তার ছেলে ‘ছাদ’ টানা হেঁছড়া করে খোকনকে তাদের হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে এক শালিসে বৈঠক হয়। বৈঠকে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণ হলে কয়েক কিস্তিতে টাকা পরিশোধের আশ্বাস দিয়ে লিখিত কাগজ দেন খোকন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে কথিত অপহরণ করার নাটক সাজাচ্ছে এবং আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়েরের চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা তিব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মৃত ছদর আহমদ’র কন্যা ইয়াসমিন কাউসার,পারুল আক্তার, দিলুয়ারার ছেলে মো: শহীদুল্লাহ, ছেনুয়ারা বেগমের ছেলে মো: মঈন উদ্দিন, আনোয়ারা বেগম, শাকেরা বেগম, রওশন আরা বুলু।