1. admin@paharerkatha.com : paharer katha : paharer katha
  2. info@paharerkatha.com : পাহাড়ের কথা :
মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
বান্দরবানে সেনা অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত কোয়ান্টাম শিক্ষার্থীদের সঠিক শিক্ষাটাই দিচ্ছে : এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহিল আজম লামায় কারিতাস বাংলাদেশ’র উদ্যোগে সামাজিক সুরক্ষায় প্রবেশাধিকার বিষয়ক সেমিনার লামায় জমি নিয়ে বিরোধে জের ধরে সংঘর্ষ : নিহত ১, আহত ৭ লামার গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রাউসের পুষ্টি কর্ণার সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে ম্যানেজ করেই চলছে মইজ্জ্যারটেকের হাক্কানী পশুখাদ্য কারখানা! সরকার আন্তরিক বলে বান্দরবানের চেহারার পরিবর্তন হয়েছে : বীর বাহাদুর লামায় ইয়াংছা বাজার ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে হামিদ সভাপতি, তালহা সেক্রেটারী নির্বাচিত লামায় আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে ৯ শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড লামায় শত্রুতার আগুনে পুড়ল ৯০ একর রাবার বাগান : ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি বান্দরবানে কেএনএফ দমন অভিযান : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটি আলীকদমে চেয়ারম্যান প্রার্থী জামাল উদ্দিন’কে নিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগ বান্দরবানে নির্বাচনী প্রচারণা স্থগিত রাখার ঘোষণা চেয়ারম্যান প্রার্থী একে এম জাহাঙ্গীরের লামায় পর্বত ট্রাভেল্স এন্ড হজ্ব কাফেলার যাত্রা শুরু

খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে কমিটি ঘোষণা না হওয়ায় ক্ষোভ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

 

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি |

 

নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দক্ষীণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও কমিটি ঘোষণা না করায় কাঙ্খিত আশা পূরণ হয়নি বলে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে তৃণমূল ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মনে।

দীর্ঘ নয় বছর পর শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে শহরের পৌর টাউন হল প্রাঙ্গণে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির পায়রা কবুতর উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

শুরুতেই শোক প্রস্তাব পাঠ করেন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. মনির হোসেন। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক এমং মারমার স্বাগত বক্তব্যের পর সাংগঠনিক প্রতিবেন পাঠ করেন, দপ্তর সম্পাদক অর্কিট চাকমা।

প্রত্যাশিত এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

সম্মেলনের শুরুতে বিএনপি-জামায়াত সরকার আমলে খাগড়াছড়িতে বিভিন্ন হামলায় নিহত নেতাকর্মীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

নীরবতা পালন শেষে খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিল্পীদের দেশাত্মবোধক গানের সাথে সাথে মনোমুগ্ধকর সম্প্রীতি নৃত্য পরিবেশন করে সম্মেলনে আগতদের মুগ্ধ করেন স্থানীয় শিল্পীরা।

সম্মেলনকে ঘিরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির একঝাক নেতা-নেত্রী, খাগড়াছড়ি জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ ছাড়াও চট্টগ্রাম এবং খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেন।

এদিকে, নয় বছর পর অনুষ্ঠিত হওয়া কাঙ্খিত সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে আহ্বায়ক কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেন, বাংলাদেশ ছাত্রলী কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তবে দ্বিতীয় অধিবেশনের মাধ্যমে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামত নিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ সাংগঠনিক পদ গুলো ঘোষণা বা ব্যাল্টের মাধ্যমে নির্বাচিত করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। দ্বিতীয় অধিবেশনও আর অনুষ্ঠিত হয়নি।

কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, যে সকল পদ প্রত্যাশিতরা নাম বা কমিটি জমা দিয়েছেন তা ঢাকায় গিয়ে যাচাই বাছাই করে পরবর্তীতে কমিটি ঘোষণা করা হবে। এতে করেই সম্মেলনে আগত তৃণমূল নেতাকর্মীদের মনের আশা পূরণ হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নাম প্রকাশ না শর্তে অনেকে।

অন্যদিকে দীর্ঘ নয় বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি না থাকা এবং বিভিন্ন ইউনিট কমিটিগুলো গঠন না হওয়াসহ ব্যক্তি কেন্দ্রিক নেতাকর্মীদের অপকর্ম আর জোরালো কর্মসূচি না থাকার কারণে অনেকটা এলোমেলো হয়ে পড়েছে, খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড।

ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সকল অভিযোগ মাথায় নিয়ে নয় বছর পর অনুষ্ঠিত হওয়া এবারের সম্মেলনে সভাপতি পদে ছিলেন, অর্ণব ত্রিপুরা টুটুল, তেপান্তর চাকমা, ক্যজাইরী মারমা, রয়েল ত্রিপুরা, জিৎজয় ত্রিপুরা ও সুপ্রিয় চাকমা। আর সাধারণ সম্পাদক পদে, মো. সাইফুল ইসলাম, নুরচ্ছাপা চৌধুরী (রাফি), মো. মনির হোসেন, ওয়াকিমং চৌধুরী, মো. শরিফুল ইসলাম ও মো. ওমর ফারুকসহ মোট ১২ জন পদ প্রত্যাশী।

ছাত্রলীগের তৃণমূল নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, সভাপতি পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে যোগ্য নেতৃত্ব এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান একসময়ে স্লোগানে রাজপথ কাঁপানো ছাত্র নেতা অর্ণব ত্রিপুরা টুটুল এবং ছাত্র নেতা ক্যজারি মারমা আলোচনায় এগিয়ে রয়েছে। আর সাধারণ সম্পাদক পদে ৬ প্রার্থীর মধ্যে আলোচনায় রয়েছে, ছাত্র নেতা মো. মনির হোসের, আর এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (প্রয়াত) হাজী দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরীর নাতি নুরুচ্ছাফা চৌধুরী রাফি।

তার রাজনীতিতে ব্যক্তিগত কোনো অর্জন বা ত্যাগ না থাকলেও ভাই নুরুল কাদের চৌধুরী’র অকাল মৃত্যুতে সহমর্মিতা এবং তাদের পারিবারিক ইমেজ কাজে লাগাচ্ছে নুরুচ্ছাফা চৌধুরী রাফি।উল্লেখ, ২০১৫ সালের ১ জুন সর্বশেষ খাগড়াছড়ি জেলা সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু মাত্র এক বছরের মাথায় খাগড়াছড়ি পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি টেকো চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিনের নেতৃত্বে দুটি ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়ে।

২০১৬ সালের ২৯ জুলাই তৎকালীন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বৈঠক করে দ্বন্দ্ব মিটিয়ে দলীয় কর্মসূচিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি একত্রে পালনের নির্দেশ দেয়। কিন্তু এরপরও দ্বন্দ্ব না মেটায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সব কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে উবিক মোহন ত্রিপুরাকে আহ্বায়ক করে ১৮ জন সদস্য বিশিষ্ট খাগড়াছড়ি জেলা কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট